![চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত প্রার্থীরা](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/24/abnews24_131818.gif)
ফরিদপুর, ২৪ মার্চ, এবিনিউজ : ফরিদপুর সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামী ২৯মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দে পর থেকে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা। শেষ মুহুর্তে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নিরলাস ভাবে ছুটছে ভোটাদের দারে দাওে প্রার্থীরা।
প্রার্থীরা নির্বাচনী বিধি-বিধান মেনে মাইকিং, পোষ্টার, লিফলেটসহ বিভিন্ন উপায়ে প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছেন। কেউ কেউ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ভোটাদের সাথে করছে উঠোন বৈঠক। ভোটারদের সামনে বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে ভোট প্রার্থনা করছেন। এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকায় স্ব স্ব দলের জেলা কিংবা উপজেলার নেতারাও ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাইছেন। নিজ দলের প্রার্থীকে জেতাতে কেন্দ্রীয় নেতারাও মাঠে নেমেছেন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপি প্রার্থী ছাড়াও স্বতন্ত্র পার্থী হয়েছেন দুই জন। চরমাধবদিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, সংরক্ষিত (নারী) সদস্য ১২ জন এবং সাধারন সদস্য পদে প্রার্থী রয়েছে ৩৩ জন।
চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান তুহিনুর রহমান খোকন মন্ডল (নৌকা প্রতিক), বিএনপি’র প্রার্থী হয়েছেন মির্জা সাইফুল ইসলাম আজম (ধানের শীষ প্রতিক), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হাফিজুর রহমান মন্ডল (মটর সাইকেল প্রতিক) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবুল বাসার (আনারস প্রতিক)।বর্তমান চেয়ারম্যান তুহিনুর রহমান মন্ডল দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান থাকায় এলাকার রাস্তা-ঘাট, মসজিদ-মাদরাসা, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন। আর সে জন্যই ইউনিয়নের জনগন তার সাথে আছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে এই ইউনিয়নের জনগণ নৌকা প্রতিকে ভোট দিবে। তিনি বলেন নৌকা উন্নয়নের প্রতিক। নৌকায় ভোটদিলে এলাকার উন্নয়ন হবে।আর সেজন্যই চরমাধবদিয়ার ভোটাররা নৌকায় ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবে। আমি নির্বাচিত হলে আমার অসমাপ্ত কাজ গুলো শেষ করতে পারব।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হাফিজুর রহমান মন্ডর বলেন, আমার পারিবারিক ঐতিহ্য ও আমার ব্যক্তিগন ইমেজের কারনেই চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিক কোন বিষয়না। এখানে জনগন যার কাছ থেকে সেবা পাবে, তাকেই ভোট দিবে। তিনি আরও বলেন, আমার পিতা এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি চরমাধবদিয়া ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও খলিল মন্ডলের হাটের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। আমার পরিবার সবসময়ই জনগনের পাশে থেকে কাজ করেছেন। আর সে কারনেই ২৯মার্চের নির্বাচনে জনগন আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।
বিএনপি’র প্রার্থী মির্জা সাইফুল ইসলাম আজম অভিযোগ করে বলেন, গত নির্বাচনে আমাকে অন্যায় ভাবে হারানো হয়েছে। এই ইউনিয়নের জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছিল কিন্ত সরকারীদল আমার চেয়ারম্যান ছিনিয়ে নিয়েছে। আমি আশা করি ২৯মার্চের নির্বাচনেও চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের জনগন আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।
এদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পাশা-পাশি গণসংযোগ উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছেন সংরক্ষিত (নারী) সদস্য এবং সাধারন সদস্য পদে প্রার্থীরাও। তারাও সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত প্রার্থীদের দারে দারে ভোট প্রার্থনা
করছেন। এবারের নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচন করছেন বয়সে তরুন সদা হাস্বজল সদালাপি মো. সালাউদ্দিন ব্যাপারী। তিনি তার এলাকার উন্নয়নে যতেষ্ঠ ভূমিকা পালন করছেন। এলাকার মানুষের বিপদে আপদে পাশে থেকে সহযোগিতা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। আর সে কারনেই অতি অল্প সময়ের মধ্যে এলাকার মানুষের মনজয় করতে সক্ষম হয়েছেন। মো. সালাউদ্দিন ব্যাপারী বলেন, আমি দীর্ঘদিন এলাকার জনগণের পাশে চিলাম। এলাকার জনগণই আমাকে নির্বাচনে দাড় করিয়েছে। আর জনগণই আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।
এদিকে সাধারণ ভোটারা মনে করছেন চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের নির্বাচনে ত্রি-মুখি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ নৌকা প্রতিক ও আনারস প্রতিক একই পরিবারের সন্তান হওয়ায়, বাড়তি সুবিধা পাবেন ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী। তবে শেষ ফলাফলের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে ২৯মার্চ রাত পর্যন্ত।রিটার্নিং অফিসার মো. আবুল বাসার মিয়া বলেন, অবাধ সুষ্ঠ ও শান্তি পূর্ণ নির্বাচন করার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। শান্তি পূর্ণ নির্বাচন করার লক্ষে আমরা সবধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।
এবিএন/কে. এম. রুবেল/জসিম/অসীম রায়