
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর), ২৪ মার্চ, এবিনিউজ : “নেতৃত্ব চাই যহ্মা নির্মুলে, ইতিহাস গড়ি সবাই মিলে” এবারের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিভিল সার্জন অফিস দিনাজপুর আয়োজিত জাতীয় যহ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী ও ব্র্যাক, নাটাব ও ল্যাম্ব এর সহযোগিতায় বিশ্ব যহ্মা দিবস-২০১৮ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সকাল ৯টায় দিনাজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় হতে বর্ণাঢ্য র্যালীটির উদ্বোধন করেন সিভিল সার্জন ডাঃ মওলা বকস্ চৌধুরী।
র্যালীটি শহরের প্রধন প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে জেনারেল হাসপাতালের কনফারেন্সরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডাঃ মওলা বকস চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আহাদ আলী। আলোচ্যক হিসেবে আলোচনা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. ইমদাদুল হক, জেনারেরল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ পারভেজ সোহেল রানা, সিনিয়র মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. ওহেদুল হক, ডাঃ সুনন্দা বর্মন, ডা. শিলা দিত্য শীল ও সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম।
মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে তথ্য ভিত্তিক প্রতিবেদন প্রদর্শন করেন ব্র্যাক এর জেলা ব্যবস্থাপক মোঃ ফিরোজ শাহ্ মিয়া। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক জেলা প্রতিনিথি মোঃ মহসিন আলী, জেলা ব্যবস্থাপক মোঃ রজব আলী, নাটাব জেলা শাখার সভাপতি তাহের উদ্দিন আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক কাশী কুমার দাস। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন আব্দুর রাজ্জাক। বক্তারা বলেন, ২৩৫ সালের মধ্যে যহ্মামুক্ত দেশ গড়তে আমাদের সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জকে বাস্তবায়ন করতে হলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যহ্মা নির্মুলের কাজ করতে পারলে আমরা ইতিহাস গড়তে পারব।
এর জন্য চাই সঠিক নেতৃত্ব। আপনারা জানেন দেশে প্রতিবছর প্রতি লাখে নতুন যহ্মা রোগী ২২১ জন, প্রতি বছর প্রতি লাখে যহ্মার কারণে মৃত্যু ঘটে ৪০ জনের। বিশ্বে প্রতি বছর যহ্মা রোগে প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটছে। বিশ্বের সকল প্রধান মৃত্যুর কারণ হিসেবে নবম স্থানে রয়েছে যহ্মা। র্যালী ও আলোচনা সভায় নার্সিং ইনস্টিটিউটের ছাত্রীরা, জিও-এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ, সিভিল সার্জন কার্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চিকিৎসকবৃন্দ অংশ নেয়।
এবিএন/আফজাল হোসেন/জসিম/তোহা