![নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত জলঢাকা পৌরবাসী](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/24/abnews-24.bbbbbbbb_131861.jpg)
জলঢাকা (নীলফামারী), ২৪ মার্চ, এবিনিউজ : নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে হোল্ডিং কর সহ অন্যান্য পৌরকর পরিশোধ করে এলেও নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত পৌরবাসী। অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব, নেই কোন বিনোদন পার্ক, পয়নিঃস্কাষণ ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন সমস্যায় ঘুরপাক খাচ্ছে করদাতা পৌর জনগণ। তারা এখন হতাশ ও ক্ষুব্ধ। জানাযায়, ১৯৯৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন আ’লীগ সরকার জলঢাকা সদর ইউনিয়নকে গ শ্রেণির পৌরসভায় রুপান্তর করেন। ২০০১ সালের ৮ই জুলাই ২৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনে ৯টি ওয়ার্ডের ১০৮টি পাড়া ও ৮১ হাজার ৩শত ৮৫ জন জনসংখ্যা নিয়ে এই জলঢাকা পৌরসভা গঠিত হয়।
গঠিত এই পৌরসভার কার্যক্রম উদ্ভোধন করেন তৎকালীন আ’লীগ সরকারের স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রী জিল্লুর রহমান। তখন ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ২ মাস ১৪ দিন আগে জলঢাকা ইউনিয়ন পরিষদকে পৌরসভায় উন্নীত করে তৎকালীন জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রথম প্রশাসক নিয়োগ দেন সরকার। পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর ২০০১ সালে পৌর নির্বাচনে প্রথম মেয়র নির্বাচন নির্বাচিত হন বি.এন.পি নেতা আনোয়ারুল কবির চৌধুরী। তিনি পর পর তিনবার মেয়র নির্বাচিত হন। তার মৃত্যুর পরে উপনির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী ইলিয়াস হোসেন বাবলু ও বর্তমানে আনোয়ারুল কবির চৌধুরীর পুত্র বি.এন.পি. নেতা ফাহমিদ ফায়সাল কমেট চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হন।
২০১৩ সালে ১১ই জুন তারিখে খ শ্রেণিতে উন্নীত করে পৌরসভাকে সরকার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই পৌরসভা নানান সমস্যায় জর্জরিত। সমস্যা সমূহ পৌর-এলাকায় বিভিন্ন সড়কের কার্পেটিং উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হচ্ছে। মেরামতের নেই কোন ব্যবস্থা। কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ড্রেনগুলো ভরাট হয়ে জলাবদ্ধাতার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে মশার উপদ্রব। বাজারে নেই কোন পানি নিষ্কাশন ও পয়নিঃষ্কাশন সহ পর্যাপ্ত স্যানিটেশন ব্যবস্থা। অপরিকল্পিত পশুর হাট, শাক-সবজির হাট বসে ভাসমান বাজার রাস্তাতে।
মাছ ও কাঁচা বাজারের উন্নয়নে নেই কোন পরিকল্পনা, পৌরএলাকায় হাঁটার জন্য নেই কোন ফুটপাত, ডাস্টবিন না থাকায় যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলায় বেড়েছে দুর্গন্ধ। পৌরসভায় নেই কোন নিজস্ব ভবন। ভাড়া করা ভবনে চলে পৌরসভার কার্যক্রম, কেনাকাটার জন্য নেই কোন আধুনিক মার্কেট, মহিলা মার্কেটে মহিলা ব্যবসা না করে করেন পুরুষরা। নেই কোন আধুনিক বাস টার্মিনাল, সরকার সারা দেশে যখন খেলুধুলার জন্য আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণ করছেন তখন জলঢাকা স্টেডিয়াম এর উন্নয়ন না করায় দখল হয়ে যাচ্ছে, মাঠে নেই কোন খেলাধুলার পরিবেশ।
সংস্কৃতি বিকাশে নেই উন্মুক্ত মঞ্চ ও বিনোদন ব্যবস্থা। শিশুদের বিনোদনের জন্য নাই শিশুপার্ক। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য নেই কোন কমিউনিটি সেন্টার, মাতৃসনদ হাসপাতাল, আবাসিক হোস্টেল, পাবলিক লাইব্রেরি,সহ প্রধান সড়ক প্রসস্থ করণের নেই কোন উদ্যেগ। এলাকার সচেতন মহল মনে করেন, মেয়ররা এলাকার উন্নয়নে সচেষ্ট হলেও দলীয় প্রভাব মুক্ত নন। এলাকাবাসীর দাবি নিজস্ব বিদ্যুৎতায়ন সহ শিশু পার্ক ও বিনোদন পার্ক নির্মাণ সহ সড়কগুলো মেরামত করার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে পৌর-মেয়র ফাহমিদ ফায়সাল কমেট চৌধুরী বলেন, পৌরসভাকে আধুনিক ও ডিজিটাল করতে হলে প্রয়োজন অর্থের ও সরকারি সহযোগিতা। আর পৌরসভার বাজেট ও হাট ইজারার টাকা দিয়ে এলাকার উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। যতটুকু পারা যায় তা করার চেষ্টা করছি।
এবিএন/হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী হাসান/জসিম/তোহা