শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
৪২ টি অবৈধ সংযোগ থেকে

চকরিয়ায় বিউবোর অভিযানে কোটি টাকা জরিমানা আদায়

চকরিয়ায় বিউবোর অভিযানে কোটি টাকা জরিমানা আদায়

চকরিয়া (কক্সবাজার), ২৪ মার্চ, এবিনিউজ : বিদ্যুৎ বিভাগের সরকারী সংস্থা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) চকরিয়া অফিস থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ, লোডশেডিং কমিয়ে আনা, নতুন গ্রাহক সৃষ্টিসহ বিদ্যুৎ সরবরাহে গ্রাহকদের আস্থা বাড়ানোর পাশাপাশি সরকারেরও ভাবমুর্তি উজ্ঝল করে তুলছে দায়িত্বরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা। পাশাপাশি বিদ্যুৎ চুরি ঠেকাতেও তৎপর দায়িত্বরতরা। অবৈধ সংযোগ নেয়া ৪২জন ব্যক্তি থেকে কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বিউবো’র সেবার মান বাড়ায় পল্লী বিদ্যুৎ নিয়ে ভোগান্তিতে থাকা কাকারা ইউনিয়নরে গ্রাহকরা ফের পিডিবির অন্তর্ভূক্ত হতে দাবী তুলেছে। কাকারার লোকজন পূর্বে পিডিবির অধীনে ছিল। তাদেরকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে পল্লী বিদ্যুতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।

বিউবো চকরিয়ার আবাসিক প্রকৌশলী ফয়জুল আলিম আলো বলেন, দেড় বছর পূর্বে আমি চকরিয়ায় যোগদানের সময় এই বিতরণ অফিসের অধীনে গ্রাহক ছিল ১৭ হাজার। মাত্র দেড় বছরে উন্নত সেবা দিয়ে মানুষের মন জয় করে প্রায় ৪ হাজার গ্রাহক বাড়িয়েছি। বর্তমানে প্রায় ২১হাজার গ্রাহক রয়েছে। বৈধ গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিতে অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। অল্প সময়ের মধ্যেই অভিযান চালিয়ে ৪২টি অবৈধ সংযোগ সনাক্ত করে তাদের কাছ থেকে এককোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

আলো আরো বলেন, সুরাজপুর-মানিকপুর ও কাকারা ইউনিয়নের বিদ্যুৎবিহীন গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে এবং জারজীর্ণ লাইন মেরামত করতে ৩শটি নয় মিটারের ও ৪০টি ১২মিটারের খাম্বা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এছাড়া কাকারাবাসীর দাবী বাস্তবায়নেও চেষ্টা চলছে। পূর্বে মাত্র ১১ কেভি ফিডারকে দুইভাগে বিভাজন করে নতুন আরও ৫টি ফিডার সংযোজন এবং আজিজনগরের

জালিয়ায় নতুন ওসিআর স্থাপন করে লোডশেডিং কমিয়ে আনা হয়েছে । এছাড়া বিদ্যুৎ গ্রাহকরা যেন অফিসে এসে বিভ্রান্তিতে না পড়েন সে জন্য প্রতিটি বিভাগকে আলাদা আলাদা করা হয়েছে।

বিউবো চকরিয়া অফিসের সহকারি আবাসিক প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোছাইন জানান, বর্তমান আবাসিক প্রকৌশলী ফয়জুল আলীম আলো গত ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর চকরিয়া অফিসে যোগদানের পর তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিদ্যুৎ সেবার মান বেড়েছে।

তিনি আরও জানান, শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিতের পাশাপাশি লোডশেডিং মুক্ত করার কাজে হাত দেন আবাসিক প্রকৌশলী ফয়জুল আলীম আলো। পূর্বে মাত্র ১১ কেভি ফিডার হওয়ার কারণে অতিভারে চলছিল লাইন। পরে ফিডার দুটিকে বিভাজন করে আরও ৫টি ফিডার তৈরি করা হলে লোডশেডিং কমে আসে ওইসব এলাকায়। চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মো. আলমগীর চৌধুরী বলেন, চকরিয়ায় বিদ্যুতের সেবার মান আগের থেকে অনেকগুণ বেড়েছে। কমে এসেছে লোডশেডিং ও অনিয়ম।

চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলম জানান, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাছিনার ঘোষনা। বিদ্যুতের বর্তমান উন্নয়ন শেখ হাসিনার ঘোষনারই প্রতিফলন। চকরিয়ায় পূর্বের তুলনায় বিদ্যুৎ বিভাগে সেবার মান বেড়েছে বলে জানান।

চকরিয়া-পেকুয়া আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, চকরিয়ায় বিদ্যুতের সেবা আরো বেশি নিশ্চিত করতে এবং প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছে দিতে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি অচিরেই বিদ্যুৎ বিভাগের আমূল পরিবর্তনে বহুমূখী কমপ্লেক্স ভবন স্থাপন করা হবে বলে জানান।

এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত