লালমনিরহাট, ২৪ মার্চ, এবিনিউজ : একটি জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে জামাইয়ের হামলায় শাশুড়ি ও শ্যালকসহ ৫ জন গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে ওই ঘটনায় লালমনিরহাটের আদিতমারী থানায় জামাইসহ ৯ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন শশুর। একই দিন বিকালে ওই উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের তিস্তা চরাঞ্চলের আরাজি ছালাপাক গ্রামের সোলেমান মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায় তার জামাই মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন। আহতরা আদিতমারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতরা হলেন, সোলেমানের স্ত্রী শরিফা বেগম, তার ছেলে শিমুল মিয়া, লিটন মিয়া, ভাগিনা সবুজ মিয়া ও জামাই মিজানুর রহমান।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোলেমান মিয়ার মেয়ে শিউলী খাতুনের সাথে ৭/৮ মাস আগে বিয়ে হয় তার প্রতিবেশী আয়নাল হকের ছেলে মিজানুর রহমানের। বিয়ের সময় জামাই মিজানুরের জাতীয় পরিচয় পত্রটি নেন নিকাহ রেজিস্টার। কিন্তু সেই পরিচয় পত্রটি আর ফিরে পাননি জামাই মিজানুর। এ পরিচয় পত্রটি তার শশুরের হাতে ছিল বলে ধারনা করে ফেরত চান মিজানুর। কিন্তু শ্বশুর সোলেমানের কাছে নেই বলে দাবি করলে গত বুধবার সোলেমান মিয়াকে চরধাপ্পর দেন তার বিয়াই আয়নাল হক। এ নিয়ে পর দিন সোলেমানের ছেলেরা তার বাবার অপমানের প্রতিশোধ নিতে তোয়াই আয়নাল হকেও থাপ্পর মারেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার আয়নাল হক দলবল নিয়ে সোলেমানের বাড়ি ঘিরে রাখে। অবরুদ্ধন হন সোলেমান। অবশেষে শুক্রবার সকালে বোরকা পড়ে বের হয়ে সোলেমান মিয়া অবরুদ্ধ পরিবারকে মুক্ত করতে থানায় একটি লিখিত আবেদন জানান। কিন্তু থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এবং অভিযোগের খবরটি জানতে পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে জামাই মিজানুর দলবল নিয়ে শুক্রবার বিকেলে শশুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করেন। এতে শাশুড়ি ও শ্যালকসহ ৪ জন গুরুতর আহত হন। এ সময় শাশুড়ি ও শ্যালকদের আঘাতে জামাই মিজানুরও গুরুত্বর আহত হয়েছেন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে আদিতমারী হাসপাতালে ৪ জনকে এবং মিজানুর আশংকাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় সোলেমান মিয়া বাদি হয়ে জামাই মিজানুরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। আদিতমারী হাসপাতালের চিকিৎসক সালাম শেখ জানান, আহতদের ৪ জনকে এ হাসপাতালে ও মিজানুর আশংকাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আদিতমারী থানা ডিউটি অফিসার উপ পরিদর্শক মঞ্জু জানান, চরাঞ্চলের যোগাযোগ সমস্যার কারনে সকালের অভিযোগটিতে ফোর্স পাঠানো সম্বব হয়নি। তবে এখন এজাহার পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিএন/আসাদুজ্জামান সাজু/জসিম/তোহা