বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় গেলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ত্রিপুরার নাম উল্লেখিত থাকবে

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় গেলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় গেলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) , ২৫ মার্চ, এবিনিউজ : ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের উদ্যোগে ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরা গেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান। আজ রোববার দুপুরে স্থল বন্দরের শূণ্য রেখায় তাঁকে স্বাগত জানান ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি মো. ইকবাল হোসেন। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন ইউজিসি’র উপ- সচিব মো. শাহীন সিরাজ। এর আগে ঢাকা থেকে সড়ক পথে বেলা সোয়া একটায় আখাউড়া স্থল বন্দরে এসে পৌঁছেন তিনি। এসময় তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আখাউড়া প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যরা।

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় গেলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান

স্থল বন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের অতিথি কক্ষে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান একান্ত আলাপচারিতায় এ প্রতিনিধিকে বলেন, ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের আমন্ত্রণে ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ত্রিপুরা যাচ্ছেন তিনি। এসময় মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরাবাসীর অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ত্রিপুরার নাম সব সময় উল্লেখিত থাকবে।

তার কারণ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর আক্রমনে এদেশের বহু মানুষ ভারতবর্ষে প্রবেশ করে। ওই সময় ত্রিপুরায় এত মানুষ প্রবেশ করেছিল, তখন ত্রিপুরার জনসংখ্যার চেয়ে শরনার্থীর সংখ্যা বেশি হয়ে গিয়েছিল। তখন ত্রিপুরার মানুষ যে ভাতৃত্বপ্রতিম আবেগ নিয়ে আমাদেরকে গ্রহণ করেছিল সেটি অতুলনীয়। অনেকে নিজেদের ঘর বাড়ি ছেড়ে দিয়ে আমাদেরকে আশ্রয় দেন। তৎকালীন ত্রিপুরার রাণী তাঁর প্রাসাদ খোলে দিয়েছিলেন শরনার্থীদের জন্য।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার ভূমিকা আমাদের জন্য বিশাল পাওনা। তিনি মনে করেন বাঙালী হিসেবে আমরা আজীবন তাদের প্রতি কৃতত্ব দেখানো উচিত। অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, শুধু একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছি তা নয়, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ত্রিপুরাবাসীকে আমার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাতে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, ত্রিপুরার সরকারের সহযোগিতায় বিলোনিয়ার চুত্তাখোলায় মুক্তিযুদ্ধ উদ্যান নির্মাণ করা হয়েছে সেটিও দেখার জন্য যাবেন তিনি। আগামী ২৭ মার্চ বিলোনিয়া সীমান্ত দিয়ে তাঁর বাংলাদেশে ফেরার কথা রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তানীদের শোষন বঞ্চনা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সনে যুদ্ধে গিয়েছিলাম। তখন আমাদের স্বপ্ন ছিল একটি স্বাধীন দেশ। ক্ষুদ দারিদ্রমুক্ত একটি দেশ। আজ ৪৭ বছর পরে এসে বলতে পারি পুরোটা অর্জন করতে না পারলেও এখন আমরা জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশের তকমা থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশের মহা সড়কে উঠতে পেড়েছি।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অধ্যাপক মান্নান বলেন, তাঁর জীবদ্দশায় এত অর্জন দেখতে পারবেন ভাবতে পারেননি। এখন মনে হচ্ছে ৩০ লক্ষ শহীদ যে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বাংলাদেশের জন্য সে বাংলাদেশ কিছুটা হলেও তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। এসময় তিনি আখাউড়া, সালদানদী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ভৈরবকে পূর্বাঞ্চলের যুদ্ধক্ষেত্রগুলো মুক্তিযুদ্ধের অসামান্য অধ্যায় বলেন।

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে তিনি সকলের প্রতি শুভেচ্ছা জানান।

এবিএন/হান্নান খাদেম/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত