![সুন্দরগঞ্জে রবি ফসলের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/25/abnews-24.bbbbbbb_132012.jpg)
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা), ২৫ মার্চ, এবিনিউজ: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে রবি ফসলের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
এ উপজেলায় ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়নই তিস্তা নদী বেস্টিত। এই ৬টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের লোকজন তাদের জমা-জমিতে বিভিন্ন প্রকার রবি ফসলের চাষাবাদ করে থাকেন। রবি ফসলকে ঘিরে নদী গর্ভে নি:স্ব হওয়া হাজার হাজার মানুষের মুখে এখন সুখের হাসি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছরে গম চাষ হয়েছে ৬’শ ৯৫ হেক্টর। সরিষা ৪’শ ৩০ হেক্টর, মরিচ ১’শ ৭৫, রসুন ৭৫, আলু ৭’শ ৬৫, ধনিয়া ২৫, তিল ১৫, তিসি ১৫, ভুট্টা ১ হাজার ৪’শ ৫০, মিষ্টি আলু ৬০, পিঁয়াজ ২’শ ৬০, চিনা ২০, কাউন ৩০, চিনা বাদাম ৭৫, কালোজিরা ১০, আখ ৭, শাক-সবজি ৫’শ ৩৫, মাসকালাই ১’শ ২৫ হেক্টর, তামাক ৬০, কলা ৬০, বাকলা ডাল ৭, অড়হর ৪, খেসারী ৫০, মসুর ৪৫ ও মুগ ২০ হেক্টর। তিস্তা নদীর করাল গ্রাসে হাজার হাজার পরিবার আবাদী জমি, বসতবাড়ী হারিয়ে নিঃস্ব হয়। এই নিঃস্ব পরিবার গুলো বাঁচার তাগিদে তাদের বংশীয় ঐতিহ্য ত্যাগ করে রিক্সা, ভ্যান চালানোসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে শ্রম বিক্রি করছিলেন।
নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় জেগে উঠে ছোট ছোট অসংখ্য বালু চর। এই চরে রবি ফসল চাষ করা যায় নির্ভয়ে। ফলনও হয় খুব ভাল। তাই রবি মৌসুমে কৃষকরা কোমড় বেঁধে চাষাবাদে মাঠে নেমেছেন। নদীর ধু-ধু বালু চরে যেখানে যে ফসল প্রযোজ্য তাই চাষাবাদ করেছেন তারা। আবাদের ফলন খুব ভাল হওয়ার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। এদিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩ হাজার কৃষককে পূণর্বাসনের জন্য প্রত্যেককে এক বিঘা জমি চাষের জন্য বীজ ও সারসহ কৃষি উপকরণ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
খোর্দ্দা চর গ্রামের মোস্তাক আহম্মেদ জানান, এবছর দুই বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছি। কম খরচে অধিক ফলন পাওয়া যায় এবং লাভজনক ফসল হওয়ায় ভুট্টা আবাদের দিকে ঝুঁকছি। কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, আবাদতো খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ অনেক সময় আমাদের স্বপ্ন ভেঙ্গে দেয়। কৃষক আয়নাল হক জানান, কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণ পেলে আমরা আরও উন্নতি পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতাম। তিনি আরও জানান, মাঝে মাঝে কৃষক প্রশিক্ষণের কথা শুনি কিন্তু কখনো প্রশিক্ষণ নিতে পারিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাশেদুল ইসলাম জানান, রবি ফসলের ৭০ ভাগই চরাঞ্চলে চাষাবাদ হয়। কৃষকের হাতে উপযুক্ত সময়ে কৃষি উপকরণ ও পরামর্শ পাওয়ার কারণে লাভজনক আবাদ ভুট্টার চাষ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।
এবিএন/শাহ মো. রেদওয়ানুর রহমান/জসিম/তোহা