
ঢাকা, ২৬ মার্চ, এবিনিউজ : বাঙালি জাতিসত্ত্বাকে সুপরিকল্পিতভাবে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত্রে সংঘটিত গণহত্যা বিংশ শতাব্দীর নিকৃষ্টতম পাঁচটি গণহত্যার একটি।১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে ঘুমন্ত, নিরস্ত্র ও নিরপরাধ বাঙালির উপর মানব ইতিহাসের জঘন্যতম ও নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ চালায় তৎকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তাই ২৫ মার্চ কে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসাবে পালন করা হয়।
গণহত্যা দিবস উপলক্ষে সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর যুগ্মসাধারণ সম্পাদক জনাব দীপুমনি এম পি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বিশ্ব ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়। বাঙ্গালী জাতিকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করার অভিপ্রায়ে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনী সেদিন যে পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়েছিলো তা বাংলার মুক্তিকামী মানুষকে দমিয়ে রাখতে পারে নাই। বিশেষ অতিথি জাতীয় সংসদের হুইপ জনাব আ. স. এম ফিরোজ এম.পি বলেন, বীর বাঙ্গালি ৩০ লাখ মানুষের জীবন বিসর্জন ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বিজয় ছিনিয়ে আনে। আর তাই আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক।
বিশেষ অতিথি আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ বলেন ‘গণহত্যা দিবস পালনের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো, ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যাযজ্ঞের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করা, আর এজন্য সরকার এবং বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসসমুহ কাজ করে যাচ্ছে। আর এই স্বীকৃতি অর্জনের মাধ্যমেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন পরিপূর্ণতা পাবে।
সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগ এর সভাপতি তাজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান এর উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক (ডা.) হাবিবে মিল্লাত এম.পি , সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডেনমার্ক আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক ড. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ ব্যাপারী , অনলাইন একটিভিস্ট অমি রহমান পিয়াল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এবিএন/ড. বিদ্যুৎ বড়ুয়া/জসিম/নির্ঝর