![আখাউড়ায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের যোগদান](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/26/sova_abnews_132183.jpg)
আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), ২৬ মার্চ, এবিনিউজ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় স্বাধীনতা দিবসে প্রশাসনের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মানে উপজেলা প্রশাসনের সংবর্ধনার নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৩ ঘন্টা পর সংবর্ধনায় যোগ দেন মুক্তিযোদ্ধারা।
মুক্তিযোদ্ধাদের পছন্দের জায়গায় মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স নির্মাণের স্থান নির্ধারণ না করার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দেন মুক্তিযোদ্ধারা।
পরে বেলা পোনে বারটায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শামছুজ্জামান, পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল ও থানার ওসি মো. মোশারফ হোসেন তরফদারের আশ্বাসে সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে যোগদেন মুক্তিযোদ্ধারা। সকাল সোয়া ৯টায় সংবর্ধা অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারিত ছিল।
উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদ সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্র উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের পাশের একটি বিল্ডিংয়ে বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধাদের অফিস রয়েছে। কিন্ত পৌরশহরের নারায়ণপুর এলাকায় একটি জায়গা নির্ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয় কয়েক বছর আগে।
প্রস্তাবটি অনুমোদন হয়ে ইতিমধ্যে অর্থ বরাদ্দ চলে এসেছে। নারায়ণপুর মূল শহর থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় জায়গাটি মুক্তিযোদ্ধাদের পছন্দ হয়নি। এতেই বেঁকে বসেন তারা। মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি বর্তমান অফিসের জায়গায়তেই মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হোক। শহরের বাইরে কৃষি জমিতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে রাজি নন তারা।
এর আগে স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে উপজেলা পরিষদ মাঠে কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অফিসে অবস্থান নেয়। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মাঠে পুলিশ, আনসার, স্কাউট, স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের কুচকাওয়াজ ও শারিরীক কসরত প্রদর্শন অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকেন মুক্তিযোদ্ধারা।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের সাবেক কমান্ডার সৈয়দ জামসেদ শাহ্ বলেন, ইউএনও সাহেব, মেয়র ও ওসি সাহেব আমাদেরকে আশ্বস্থ করেছেন মন্ত্রী মহোদয়ের (আইনমন্ত্রী) কথা বলে বর্তমান অফিসের জায়গাতেই মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স নির্মাণ করার ব্যবস্থা করবেন। এই আশ্বাস পাওয়ার পর আমরা অনুষ্ঠানে যোগ দেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শামছুজ্জামান বলেন, আইনমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে আলাপআলোচনা করে উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের পাশের বর্তমান অফিসের জায়গায় মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিএন/হান্নান খাদেম/জসিম/এমসি