শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • চলনবিলের ক্ষিরা যাচ্ছে সারা দেশে: কৃষকের মুখে হাসি

চলনবিলের ক্ষিরা যাচ্ছে সারা দেশে: কৃষকের মুখে হাসি

চলনবিলের ক্ষিরা যাচ্ছে সারা দেশে: কৃষকের মুখে হাসি

সিরাজগঞ্জ, ২৬ মার্চ, এবিনিউজ : সিরাজগঞ্জের চলনবিল অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ক্ষিরার হাট জমে উঠেছে। এ অঞ্চলের ক্ষিরার আড়ৎগুলোতে পাইকার ও বিক্রেতাদের ভিড় জমেছে। প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেচাকেনা হচ্ছে শত শত টন ক্ষিরা। চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশের উৎপাদিত ক্ষিরা রাজধানীসহ যাচ্ছে সারা দেশে। ক্ষিরার আড়ৎ থেকে প্রতিদিন ৭৫ থেকে ৮০ টন ক্ষিরা রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

জানা গেছে, চলনবিল এলাকার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, উল্লাপাড়া, নাটোরের সিংড়া ও বগুড়ার শেরপুরের কৃষকদের উৎপাদিত ক্ষিরা বেচাকেনার জন্য স্থানীয় দিঘরিয়া বাজার আড়ৎটি প্রায় ১৫ বছর আগে চালু হয়। এসব অঞ্চলের ক্ষিরা চাষীরা এই আড়ৎদে ক্ষিরা বিক্রি করতে আসেন। প্রতিদিন সকাল থেকে এই ক্ষিরা কেনাবেচা হয়। মহাজনরা এই ক্ষিরা ক্রয় করে ট্রাকযোগে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে চলতি মাসের প্রথম থেকে। এখানে প্রচুর ক্ষিরা আমদানি হওয়ায় ওজনের পরিবর্তে বস্তা চুক্তিতে বিক্রি করা হয়। প্রকারভেদে প্রতি ছোট বস্তা ক্ষিরা বিক্রি হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা এবং বড় বস্তা বিক্রি হয় ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা পর্যন্ত।

এছাড়া খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাড়াশ উপজেলার পশ্চিম এলাকার বারুহাস ও তালম ইউনিয়ন, নাটোরের সিংড়ার বিয়াস ইউনিয়ন এবং বগুড়ার শেরপুরের বিশালপুর ইউনিয়নসহ অনেক অঞ্চলের কৃষকরা গড়ে সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে ক্ষিরা চাষ করে প্রতি বছর। গত বছরের তুলনায় এ বছর ক্ষিরা চাষে ৩ হাজার হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার বেশি জমিতে এই লাভজনক ক্ষিরা চাষ হয়েছে।

এবার ক্ষিরার ফলন কিছুটা কম হলেও দাম বেশি হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, প্রতিবিঘা জমিতে ক্ষিরা চাষ করতে প্রায় ১১/১২ হাজার টাকা ব্যয় হয়। ১ বিঘা থেকে উৎপাদিত ক্ষিরা বিক্রি হয় ২৬হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকায়। ব্যবসায়ী রাকিবুল ইসলামসহ অনেকেই বলেন, চলনবিলের তাড়াশ অঞ্চলের উৎপাদিত ক্ষিরার মান অনেক ভালো, খেতেও সুস্বাদু এবং দামও কম। এজন্য এই ক্ষিরার কদর সারা দেশে রয়েছে।

এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম জানান, গত বছর ক্ষিরার ফলন অনেকটাই ভালো হওয়ায় এবছরও কৃষকরা এই লাভজনক চাষাবাদ করেছেন। তবে ফলন কিছুটা কম হলেও দাম বেশি থাকায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এবিএন/এস.এম তফিজ উদ্দিন/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত