![তিতাসে হাজী মনির হত্যার ঘটনায় মামলা: গ্রেফতার ১](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/26/abnews-24.bbbbbbbbbbbb_132230.jpg)
তিতাস (কুমিল্লা), ২৬ মার্চ, এবিনিউজ: কুমিল্লার তিতাস উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা হাজী মনিরকে হত্যার ঘটনায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০/১২জনকে অজ্ঞাত রেখে, নিহতের ছেলে এ্যাডভোকেট মুক্তার হোসেন নাঈম বাদী হয়ে তিতাস থানায় একটি হত্যা মামলা করেছে। এঘটনায় এজাহার নামীয় নবীর হোসেন নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে তিতাস থানা পুলিশ। গ্রেফতার কৃত নবীর ওই গ্রামের মৃত আব্দুল্লার ছেলে। মামলার অন্য আসামীরা ঘটনার রাতেই বাড়ী ঘর ছেরে পালিয়েছে।
মামলার বাদী এ্যাডভোকেট মুক্তার দৈনিক সমকালকে জানান জগতপুর গ্রামের নয়ন হত্যা মামলার আসামী জাহাঙ্গীর ওরফে ইয়াবা জাহাঙ্গরি,কালা আশিক, মোস্ত্ক ও তাজ মিয়াসহ অপর আসামীরা তার বাবা হাজী মনিরকে দুই বছর পূর্বে উপজেলার উজিরাকান্দি বাজারে এবং জগতপুর বাজারে হত্যার চেষ্টা করে এবং গুরুতর আহত করে। ওই ঘটনায় হাজী মনির একটি মামলা করেছেন। সেই মামলায় হাজী মনিরের সাক্ষী ছিল ২৭ মার্চ ২০১৮ইং। কিন্তু সাক্ষী দেয়ার পূর্বেই আমার বাবাকে মেরে ফেলেছে খুনিরা। একথা বলে কান্নায় ভেঙ্গে পরে মুক্তার।
বাদী আরো জানায় তার বাবা জগতপুর ইউনিয়নের একজন প্রভাবশালী বিচারক ছিলেন। কিছুদিন পূর্বে জগতপুর গ্রামে একটি টু-নাইনন্টি ঘটনাকে পুজি করে ওই গ্রামের জৈনক এক ব্যাক্তি অভিযুক্তর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করার চেষ্টা করে আসছিল কিন্তু তার বাবার কারনে টাকা নিতে পারেনি।এরকম অশংখ্য ভূক্তবোগী আমার বাবর মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে।এলাকাবাসী সমকালকে জানায় হাজী মনির একজন প্রভাবশালী বিচারক ছিলেন এবং আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতা ছিলেন। তাকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে তা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে।তারা আরো জানায় তিতাসে ইদানিং অস্ত্রধারীর সংখ্যা বেরে গেছে।
এখনই যদি অস্ত্রধারীদেরকে চিহ্নহিত করে আইনের আওতায় না আনা হয় তাহলে তিতাসে খুনের ঘটনা বারতেই থাকবে।আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর প্রতি তিতাস বাসীর দাবী অবিলম্বে অস্ত্রধারীদেরকে চিহ্নহিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির ব্যাবস্থা করা হোক।উল্লেখ ২৪মার্চ রাত আনুমানিক ৮টায় হাজী মনিরের বাড়ীর প্রাইমারী স্কুলের বারন্দায় বসে ওই গ্রামের মোস্তাক ও তাজ মিয়ার সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছিল।
এসময় গুলির শব্দ শুনে তার ছেলে দৌড়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখতে পায় তার বাবাকে গুলি করে জাহঙ্গীর,আশিক,মোস্তাক,তাজ মিয়া,নবীর হোসেনসহ অন্য আসামীরা পালিয়ে যায়। আহত মনিরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক হাজী মনিরকে মৃত ঘোষনা করে।
এবিএন/কবির হোসেন/জসিম/তোহা