শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

বাউফলে গরু চুরির অপরাধে ইউপি সদস্য গ্রেফতার

বাউফলে গরু চুরির অপরাধে ইউপি সদস্য গ্রেফতার

বাউফল (পটুয়াখালী), ২৭ মার্চ, এবিনিউজ : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিন ব্যাপারী গরুর চুরির অপরাধে আজ মঙ্গলবার থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে গরু চুরি করতে গিয়ে ইউনুচ (৪৫) নামে এক ব্যক্তি হাতেনাতে ধরা পড়েছেন। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা অপর চোর ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিন ব্যাপারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি পড়ে যায়। স্থানীয়রা ওই মুঠোফোনটি পেয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই মুঠোফোনটি চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বর) এবং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন ব্যাপারী। আর ইউনুচের বাড়ি উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামে। তিনি চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের খেয়াঘাট এলাকায় শ্রমিকের কাজ করেন।

এদিকে চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইউপি সদস্যসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে গত রবিবার দুপুরে দুই শতাধিক এলাকাবাসি মিছিল করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইউনুচকে আটকের পরে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ি আরও ছয়টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয় এবং সেই গরুসহ আটককৃত ইউনুচকে ওই রাতেই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে সোপর্দ করা হয়।

ছয়টি গরুর মধ্যে তিনটি উদ্ধার করা হয় একই ইউপির চরকচুয়া গ্রামের মো. হাফিজুর রহমানের (২৫) কাছ থেকে এবং তিনটি উদ্ধার করা হয় ডিয়ারা কচুয়া গ্রামের আবুল হোসেন প্যাদার (৪২) কাছ থেকে।

হাফিজুর ও আবুল হোসেন অভিন্নভাবে বলেন, কিছুদিন আগে রাতের বেলা ওই গরু তাঁদের কাছে শাহাবুদ্দিন মেম্বর ও চর মেয়াজানের আলম শিকদার রেখে এসেছেন ভাগ-রাখালী হিসেবে লালন-পালন করার জন্য।

আটক ইউনুচের বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আলকাচ মোল্লা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শনিবার রাতে ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিন তাঁকে (ইউনুচ) ডেকে নিয়ে যায়। রাত সোয়া দশটার দিকে ডিয়ারা কচুয়া গ্রামের ইউনুচ জোমাদ্দারের (৪৮) গোয়ালঘর থেকে একটি গরু নিয়ে যাচ্ছিলেন ইউনুচ ও শাহাবুদ্দিন। ওই সময় গরুর মালিক ইউনুচ জোমাদ্দার দেখে ডাকচিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এসে হাতে-নাতে ধরে ফেলে ইউনুচকে। ততক্ষণে শাহাবুদ্দিন পালিয়ে যান। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি পড়ে যায়। যা পেয়ে স্থানীয়রা তাঁর (চেয়ারম্যান) কাছে জমা দেন।

ওই রাতেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে রোববার দুপুরে বাউফল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কবির হোসেন গিয়ে চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইউনুচকে থানায় নিয়ে যান। আর উদ্ধার হওয়া ছয়টি চোরাই গরু ছয় নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ হাবিবুর রহমানের জিম্মায় রেখে যান।

তিনি আরও বলেন, গরু ছয়টি তাঁর এলাকার না। ধারণা করা হচ্ছে পাশের ভোলা জেলা থেকে চুরি করে আনা হয়েছিল।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত শনিবার রাতে গরু চুরির ঘটনার সঙ্গে প্রাথমিক তদন্তে ইউনুচ ও ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিনের জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া গেছে। শাহাবুদ্দিনের মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে। আর ওই ছয় গরু চুরির সঙ্গে এই দুইজন ব্যতীত অন্য কেউ জড়িত কিনা? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এবিএন/দেলোয়ার হোসেন/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত