
শেরপুর (বগুড়া), ২৭ মার্চ, এবিনিউজ : দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে পাক বাহিনীকে পরাজিত করে বাঙালির দামাল ছেলেরা অর্জন করে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও বিজয়। স্বাধীনতার পর থেকে বাঙালী জাতি গভীর শ্রদ্ধাভরে এবং যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে দিবস দুটি পালন করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযথভাবে পালনের জন্য বগুড়ার শেরপুরের পৌর শহরের ধুনট মোড় হইতে পার্ক আহলে হাদিস মসজিদ পর্যন্ত সড়কের ডিভাইডারে জাতীয় পতাকা ও আলোকসজ্জায় সজ্জিত করতে আলোচনাসভায় চিঠিতে পৌর মেয়রকে অনুরোধ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় উল্লেখিত প্রস্তাবিত বিষয়টি দিবসের শ্রীবৃদ্ধিকরণ কাজে অংশ না করায় পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে না ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সচেতনমহলে।
জানা যায়, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য গত ৫ মার্চ উপজেলা হলরুমে আলোচনাসভা হয় দিবস উদযাপন কমিটির। এতে সকলের সম্মতিক্রমে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ দিবস ট উদযাপন কমিটির বিভিন্ন সিদ্ধান্ত সম্বলিত নথির ১১ পাতার একটি চিঠির ১০ পাতায় ১২ নং কলামে “শহরের ধুনট মোড় হইতে পার্ক আহলে হাদিস মসজিদ পর্যন্ত সড়ক জাতীয় পতাকা দ্বারা সজ্জিত করার জন্য মেয়র শেরপুর পৌরসভাকে অনুরোধ করা হলো।”এ প্রস্তাবনা সম্বলিত একটি চিঠি পৌরসভার কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করলেও গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসটির শ্রীবৃদ্ধিতে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্যভাবে পালনের জন্য উক্ত কমিটির আলোচনাসভায় সিদ্ধান্তবলীর ৯ পাতায় ১০নং কলামে অনুরূপভাবে চিঠির মাধ্যমে পৌর মেয়রকে অনুরোধ করা হয়েছিল বলে উপজেলা অফিস থেকে জানা গেছে।
কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষরিত চিঠিতে দিবসগুলো যথাযোগ্যভাবে পালনের জন্য পতাকা ও আলোকসজ্জার এই অনুরোধের অজ্ঞাত কারণে পৌর কর্তৃপক্ষ কোন তোয়াক্কা না করায় বিষয়টি ফাঁস হলে সচেতনমহলে নানা প্রশ্নের জম্মসহ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এসব দিবসের পৌরসভা সহযোগিতা করেনা এমন নয়, তবে সাজসজ্জায় সহযোগিতা না করলেও অন্যভাবে সহযোগিতা করে থাকেন।
এ বিষয়ে শেরপুর পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার বলেন, স্বাধীনতা দিবসের কয়েকদিন আগেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিলাম, তবে দিবসটি পালনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিদের্শনা দেয়া ছিলো, তাছাড়া সাজ সজ্জার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এবিএন/শহিদুল ইসলাম শাওন/জসিম/এমসি