![শায়েস্তাগঞ্জে বিউটি ধর্ষণ ও হত্যার প্রধান আসামী এখনও প্রেফতার হয়নি](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/28/abnews-24.bbbbbbbbbbbbbbbbb_132577.jpg)
হবিগঞ্জ, ২৮ মার্চ, এবিনিউজ: শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের স্কুল ছাত্রী বিউটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামী বাবুলকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। হত্যাকান্ডের ১০দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও প্রধান আসামী বাবুল ধরা না পড়ায় হতাশ পড়েছেন বিউটির বাবা সায়েদ আলীসহ স্বজনরা। পুলিশ বলছে বাবুলকে ধরার জন্য তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিউটি আক্তার ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের সায়েদ আলীর মেয়ে। মামলার প্রধান আসামী বাবুল মিয়া দুই সন্তানের জনক। সে একই গ্রামের মলাই মিয়ার ছেলে। বাবুলের মা ব্রাহ্মণডোরা ইউপি সদস্য কলম চান ও ইসমাইল নামে এক যুবককে প্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে নিহত বিউটি হত্যাকান্ডের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করছেন মানবাধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
জানা যায়, প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্যক্ত করতো বখাটে বাবুল মিয়া। অতিষ্ঠ হয়ে বিউটির বাবা-মা বাবুলের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে বিচার চান। এতে বাবুল আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এর জের ধরে গত ২১ জানুয়ারি বিউটিকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় বাবুল ও তার সহযোগীরা। পরে কৌশলে বিউটিকে তার বাড়িতে রেখে বাবুল পালিয়ে যায়। এর প্রায় এক সপ্তাহ পর গত ১ মার্চ বিউটির বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা ইউপি সদস্য কলমচানকে আসামি করে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। গত ৪ মার্চ আদালত শায়েস্তাগঞ্জ থানায় মামলাটি পাঠায়।
গত ১৬ মার্চ সায়েদ আলী বিউটিকে তার নানার বাড়ি লাখাই উপজেলার গুনিপুর গ্রামে পাঠিয়ে দেন। মামলা করায় ওই দিন রাতেই আবার বিউটি নিখোজ হয়। পরদিন ১৭ মার্চ সকালে পুরাইখোলা হাওরে বিউটির লাশ পাওয়া যায়। এর পরদিন সায়েদ আলী শায়েস্তাগঞ্জ থানায় বাবুলসহ দুজনের নাম উল্লেখ এবং আরও কয়েকজনকে আসামি করে হত্যার পর ধর্ষণের অভিযোগে আবার মামলা করেন।
এবিএন/ নুরুজ্জামান ভূঁইয়া/জসিম/তোহা