বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

নিহত চার শিক্ষার্থীর পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দেবে কুয়েট

নিহত চার শিক্ষার্থীর পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দেবে কুয়েট

খুলনা, ৩১ মার্চ, এবিনিউজ : ময়মনসিংহের ভালুকায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে নিহত খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) চার শিক্ষার্থীর পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এছাড়া প্রত্যেক পরিবারের সদস্যদের তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে এক কোটি টাকা করে দেয়ার দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অনশন শুরু হয়।

অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বিভাগের চার শিক্ষার্থীকে হারিয়ে আমরা শোকাহত। এসব শিক্ষার্থীর চিকিৎসার জন্য প্রায় ছয় লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে যার মধ্যে মাত্র ৫০ হাজার টাকা কুয়েট প্রশাসন দিয়েছে। বাকি টাকা কুয়েট শিক্ষার্থীসহ দেশ-বিদেশের সাবেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সহযোগিতা নেয়া হয়েছে। তারপরও তাদের বাঁচানো যায়নি।

তারা বলেন, আমাদের একটাই দাবি- ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে কুয়েট প্রশাসনকে এক কোটি টাকা করে মোট চার কোটি টাকা অনুদান দিতে হবে। এই টাকা রোববার দুপুর ১টার মধ্যে প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে বণ্টন করতে বাধ্য থাকবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, এই টাকা পরিবারের হাতে না যাওয়া পর্যন্ত আমরা অনশন কর্মসূচি পালন করব। প্রত্যেক পরিবারকে এক কোটি টাকা করে হস্তান্তর না করা হলে রোববার আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।

কুয়েটের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৩ তম ব্যাচের সাবেক জিএস ইয়াসির আরাফাত বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সবার পরিবারের সদস্যরা খেটে খাওয়া মানুষ এবং দু’জনের বাবা নেই। তৌহিদের বাবা প্যারালাইজড। বিশ্ববিদ্যালয় কাদের চাকরি দেবে? আমরা এই সিদ্ধান্ত মানি না।

তিনি বলেন, প্রত্যেক পরিবারকে কমপক্ষে এক কোটি টাকার সাহায্য না দেয়া পর্যন্ত আমাদের আমরণ অনশন অব্যাহত থাকবে।

অনশনের বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরের মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

অন্যদিকে কুয়েটের চার শিক্ষার্থীর নিহতের ঘটনায় শনিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দিনের শোক পালন করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ শনিবার রাতে ভালুকার জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ি আরএস টাওয়ারের ছয়তলা ভবনের তিনতলায় গ্যাস লাইনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় তৌহিদুল ইসলাম, শাহিন মিয়া, হাফিজুর রহমান ও দীপ্ত সরকার মারা যান। তারা সবাই কুয়েটের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষবর্ষের ছাত্র ছিলেন। ভালুকায় স্কয়ার ফ্যাশনে তারা শিক্ষানবিশ হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত