সিরাজগঞ্জ, ০১ এপ্রিল, এবিনিউজ : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া চন্দ্রপাড়া গ্রামে এক কলেজ ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষিতা মেয়েটি শাহজাদপুর সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী এবং এ ঘটনার পর ঘরে বসে শুধ দু‘ুচোখের জল ফেলছে আর ক্রমশ বেচে থাকার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলছে ওই ছাত্রী। ধর্ষিতার বাবা রজব আলী জানান, একই গ্রামের প্রতিবেশি আনোয়ারের ছেলে ও যশোর জেলার মনিরামপুর ব্র্যাক অফিসের পশু প্রজনন বিভাগের ম্যানেজার সেলিম মিয়া তার মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রতি দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। এরপর দেখা করার অজুহাতে তাকে একাধিকবার জোবপূর্বক ধর্ষণ করে।
অতি সম্প্রতি মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ দিলে লম্পট সেলিম এ বিষয়ে গোপনে কথা বলার অজুহাতে গত ৪ মার্চ তাকে আবারও জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে পালিয়ে যায়। নিরুপায় হয়ে তারা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মাতবরদের কাছে বিচার প্রার্থনা করে। তারা বিচার দেয়ার নামে নানা ভাবে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। অবশেষে মেয়েটি বাধ্য হয়ে গত ২৫ মার্চ সিরাজগঞ্জ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে লম্পট এনজিও কর্মকর্তা সেলিম সহ ৫ জনকে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ বিচারক এ মামলাটি এজাহার হিসাবে গন্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শাহজাদপুর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। শাহজাদপুর থানা পুলিশও মামলাটি এজাহার ভূক্ত করতে গরিমশি করতে থাকে।
এ অবস্থায় মেয়েটির সুবিচার পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এ বিষয়টি জানতে স্থানীয় সাংবাদিকরা দৌড়ঝাপ শুরু করলে শাহজাদপুর থানা পুলিশ গতকাল শনিবার রাতে মামলাটি এজাহার ভূক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার ওসি (তদন্ত) রাকিবুল হুদা জানান, আদালতের নির্দেশে মামলাটি এজাহার হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এবিএন/এস.এম তফিজ উদ্দিন/জসিম/তোহা
© আবহমান বাংলা মিডিয়া লিমিটেড কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
