![বাউফলে শতাধিক শিক্ষকের বদলী অনিশ্চিত](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/01/potuakhali_abnews24_133160.jpg)
বাউফল (পটুয়াখালী), ০১ এপ্রিল, এবিনিউজ : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের দ্বন্দ্বের কারনে শিক্ষা কমিটির সভা হচ্ছে না। ফলে শতাধিক শিক্ষকের বদলী প্রক্রিয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে মহা বিপাকে পড়েছেন শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১ মার্চ বাউফল উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভা আহবান করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান। ওই সভা চলাকালে রুনিয়া বেগম ও ইব্রাহিম ফারুক এই ২ জন সদস্য শিক্ষা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা চিফ হুইপ আসম ফিরোজের সভায় উপস্থিতি দাবী করে ওয়াক আউট করেন।
পরে সভাটি কোন প্রকার সিদ্ধান্ত ছাড়াই মুলতবি ঘোষণা করা হয়। ৪ মার্চ ফের প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতি নিশ্চিত করে ওই মুলতবি সভা আহবান করেন উপজেলা চেয়ারম্যান। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা চিফ হুইপ আসম ফিরোজ ৪ মার্চ জাতীয় সংসদের কাজে ব্যস্ত থাকায় সভায় উপস্থিত হতে পারেননি। ৪ মার্চের সভাটি ৭ মার্চ নির্ধারণ করা হয়। ৭ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা চিফ হুইপ আসম ফিরোজ সভায় উপস্থিত হলেও সেখানে যাননি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান। ওই সভা স্থল থেকে রাম দা সহ এক যুবক পুরিশের হাতে গ্রেফতার হন। পরে সেই সভাটিও পন্ড হয়ে যায়।
সর্বশেষ ২৮ মার্চ শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজুল হক শিক্ষকদের সুবিধার বিষয়টি মাথায় রেখে শিক্ষা কমিটির সভার আয়োজন করেন।ওই সভায় যাননি শিক্ষা কমিটির সভাপতিও সদস্যরা। জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষকদের বদলী হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বাউফল উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের দ্বন্দ্বের কারনে বদলী প্রার্থী শিক্ষকরা বিপাকে পড়েছেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজুল হক বলেন, এখন আর সভা আহবান করার সুযোগ নেই। তাই শতাধিক শিক্ষকের বদলী প্রক্রিয়া অনিশ্চিত হয়ে গেছে।
শিক্ষা কমিটির সদস্য ইব্রাহিম ফারুক বলেন, অধিকাংশ সদস্যদের দাবী ছিল সভায় প্রধান উপদেষ্টা চিফ হুইপ আসম ফিরোজ উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান তা চাননি। ৭ মার্চের সভায় প্রধান উপদেষ্টা চিফ হুইপ আসম ফিরোজ উপস্থিত হলেও সেখানে যাননি উপজেলা চেয়ারম্যান। তিনি কোন ভাবেই শিক্ষকদের বদলী চাচ্ছেন না। উপজেলা চেয়ারম্যানের খাম খেয়ালীপণার কারনেই শিক্ষকরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান বলেন, সভার দায়িত্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান সভায় সরকারি নিয়ম মানা হবে না তাই তিনি ওই সভায় থাকবেন না । নিয়ম অনুয়ায়ী সিনিয়র হিসাবে বদলি কিন্ত তারা ( চীফ হুইপ) সে নিয়ম অপেক্ষা করে তাদের পছন্তমতোর লোকদের জুনিয়র শিক্ষকদের বদলি করতে চান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ৭ মার্চের সভাটি অবৈধ বলে নোট দিয়েছেন। সেই অবৈধ সভাটি আমি করতে পারি না।
এবিএন/দেলোয়ার হোসেন/জসিম/তোহা