ঢাকা, ০২ এপ্রিল, এবিনিউজ : পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আজ সোমবার থেকে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এবার তত্ত্বীয় পরীক্ষা ২ এপ্রিল সোমবার থেকে শুরু হয়ে ১৩ মে রোববার এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৪ মে থেকে শুরু হয়ে ২৩ মে শেষ হবে।
চলতি বছর ৮ হাজার ৯৪৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩,১১,৪৫৭ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিবে। এরমধ্যে ৬,৯২,৬৭৩০ জন ছেলে এবং ৬,১৮,৭২৭ জন মেয়ে।
২০১৭ সালে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ১১,৮৩,৬৮৬ জন এবং ২০১৮ সালে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১৩,১১,৪৫৭ জন। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে মোট পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১,২৭,৭৭১ জন, বৃদ্ধির হার ১০.৭৯%।
মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৭৯টি এবং মোট কেন্দ্র বেড়েছে ৪৪টি।
সূত্র জানায়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এছাড়া বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (অটিস্টিক এবং ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রালপালসি আক্রান্ত) পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় এবং পরীক্ষার কক্ষে তার অভিভাবক/শিক্ষক/সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
প্রশ্নফাঁস রোধে কঠোর সরকার
শিক্ষামন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সার্বক্ষণিকভাবে সারাদেশের এইচএসসি ও সমমানের সকল পরীক্ষা তদারকির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রশ্নফাঁস রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ ২৮টি ইউনিট কাজ করবে। আর প্রশ্নফাঁসের তথ্য দিতে জরুরি সেবার ‘৯৯৯’ নম্বরে কল করা যাবে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, এইচএসসি পরীক্ষায় আমরা আগের চেয়ে আরো অনেক বেশি কঠোর অবস্থান নিয়েছি। অনেক বেশি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি, অনেক বেশি পদ্ধতি অ্যাপ্লাই করেছি। আশা করতে পারি প্রশ্নফাঁস হবে না। শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইন জানিয়েছেন, প্রশ্নফাঁস রোধে বাংলাদেশ ব্যাংক, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে নিয়োজিত ২৮টি ইউনিট কাজ করবে।
প্রশ্নফাঁস রোধে গত ২৯ মার্চ থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষার্থী ছাড়া জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গত এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের বিস্তর অভিযোগের পর এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষা উপলক্ষে গত ২৮ মার্চ সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, পরীক্ষা শুরুর ৩০ (ত্রিশ) মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ (পঁচিশ) মিনিট পূর্বে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোবাইল নাম্বারে সেট কোড ব্যবহারের নির্দেশনার এসএমএস যাওয়ার পর প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলবেন। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যতিত অন্য কেহ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি