![মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি: ঢাবির সেই শিক্ষককে অব্যাহতি](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/02/du_133435.jpg)
ঢাকা, ০২ এপ্রিল, এবিনিউজ : মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ও বঙ্গবন্ধুর শাসন আমল নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া তথ্য পরিবেশনের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কর্মকাণ্ড থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞতিতে এই তথ্য জানানো হয়। ‘পুনরাদেশ’ না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় প্রকাশিত ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ শীর্ষক প্রবন্ধে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননার অভিযোগ এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভুত পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দফতর থেকে পাঠানো এক পত্রের মাধ্যমে জানানো হয়েছে ‘এই আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।’
বিএনপিপন্থি অধ্যাপক মোরশেদ হাসান খান ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’তে লিখেন, ‘আওয়ামী নেতাদের বেশিরভাগই তাদের পরিবার পরিজন সহ ভারতে চলে গেলেন, এ দেশবাসীকে মৃত্যু ফাঁদে ফেলে দিয়ে নেতৃত্বহীন অবস্থায়। যাকে ঘিরে এ দেশের মানুষ স্বপ্ন দেখত সেই শেখ মুজিবুর রহমানও।’
স্বাধীনতার ডাক এসেছিল শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর, তার আগে নয়। আমার জানা মতে তিনি কোনো স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি।’ অথচ ২০০৯ সালের ২১ জুন হাইকোর্ট ‘ জিয়া নয়, বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষক’ বলে রায় দেয়।
অধ্যাপক মোরশেদ হাসান খানের নিবন্ধ ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ প্রকাশিত হওয়ার পর চারিদিকে সমালোচনা, বিক্ষোভ শুরু হয়। ছাত্রলীগ ২৭ মার্চ ব্যবসায় অনুষদের সামনে বিক্ষোভ করে তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে। একইদিন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের কাছে দাবি জানায়।
এর পর অধ্যাপক মোর্শেদ খান ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ তে অসচেতনতাবশত কিছু লাইন লিখেছন উল্লেখ করে ২৭ মার্চ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে লেখাটির জন্য ক্ষমা চান এবং লেখা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মিটিংয়ে অধ্যাপক মোরশেদের বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান।
এবিএন/মমিন/জসিম