শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • উলিপুরে ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর চেষ্টা এক শিক্ষকের

উলিপুরে ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর চেষ্টা এক শিক্ষকের

উলিপুরে ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর চেষ্টা এক শিক্ষকের

উলিপুর (কুড়িগ্রাম), ০৩ এপ্রিল, এবিনিউজ : কুড়িগ্রামের উলিপুরে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে তারই বিদ্যালয়ের শাহ্ আলম নামের এক সহকারি শিক্ষক। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষক স্পর্শকাতর ঘটনাটি জানলেও ঘটনার ৬দিন পরেও কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ কিংবা আইন প্রয়োগকারি সংস্থাকে অতিবাহিত করেননি। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানির পর স্থানীয় অভিভাবক মহলে ও সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ ও চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জেলার উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগদাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঐ লম্পট সহকারী শিক্ষক গত ২৯ মার্চ বিদ্যালয় চলাকালিন সময় পাশের্^র ফাঁকা একটি কক্ষে পঞ্চম শ্রেণির ঐ ছাত্রীকে কৌশলে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানির চেষ্টা চালায়। এ সময় ঐ ছাত্রীটি চিৎকার করলে বিদ্যালয়ে থাকা শিশু শিক্ষার্থীরা ও জনৈক এক শিক্ষক ঘটনা স্থলে ছুটে এসে ভীতসন্ত্রস্থ ছাত্রীটির কাছ থেকে অনৈতিক ঘটনার বিস্তারিত বর্ননা শোনেন এ সময় ঐ অভিযুক্ত শিক্ষক দ্রুত সেখান থেকে সটকে পড়ে বিদ্যালয় সংলগ্ন নিজ বাড়ীতে যায়।

স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, ঐ লম্পট শিক্ষক শাহ্ আলম ইতিপূর্বেও এ ধরনের ২টি অপকর্ম ঘটিয়ে টাকার জোড়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় পার পেয়ে যান। এ ব্যাপারে লম্পট শিক্ষক শাহ্ আলমের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার (০১৭৩৫-৪৭৩২৩৩) যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলে ফোন রিসিভ করেনি। ঘটনা ধামাচাপা দিতে ঐ লম্পট শিক্ষক একজন ইউপি সদস্যসহ ৩ প্রভাবশালীকে নিয়ে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মাহফুজার রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন কমিটির বৈঠক করে দোষি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। আইন প্রয়োগকারি সংস্থা ও শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি জানাননি কেন প্রশ্ন করলে তিনি কৌশলে এ প্রশ্নর জবাব এরিয়ে যান। প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক জানান ঘটনার সময় তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না, ঘটনাটি শোনার পর মর্মাহত হয়েছেন বলে তিনি জানান। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম জানান আমি ঘটনাটি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি।

আজই ঘটনাস্থলে একজন সহকারী শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। ঘটনা সত্য হলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ খোকা বলেন, বিষয়টি আমি আজ শুনেছি, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মিটিং থাকায় ঘটনাস্থলে এখনও যেতে পারিনি।

এবিএন/আব্দুল মালেক/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত