
চকরিয়া(কক্সবাজার), ০৩ এপ্রিল, এবিনিউজ : কক্সবাজারের চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। আইনি দুর্বলতার কারণে বেপরোয়া চালকরা। যত্রতত্র পার্কিং, অনিভিজ্ঞ ড্রাইভার ফিটনেস বিহীন যানবাহন, ট্রাফিক আইন লংঘন, আঁকা-বাঁকা ও উচুনিচু স্থানে দৃশ্যমান সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড না থাকা ছাড়া ও শিক্ষা প্রতিষ্টান এবং হাসপাতালের সামনে স্প্রীড়ব্রেকার না থাকা, সড়কে লবণ জল গলে পড়ে পিচ্ছিল হওয়াসহ নানা অনিয়মের কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনা। অকালে ঝরছে তাজা প্রাণ। আহতে হয়ে পঙ্গু হচ্ছে অনেকেইে।
গত মার্চ মাসেই চকরিয়ায় ১৯টি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫জন নিহত ও ৫৫জন আহত হয়েছেন। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)এর মাসিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, জানুয়ারীতে ৯জন, ফেব্রুয়ারীতে ১১জন ও মার্চে ১৫জন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় চকরিয়ায়।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান ও নিসচা’র প্রধান কার্যালয়ে প্রদান করা প্রতিবেদনে দাবী করা হয়, মার্চে চকরিয়ায় ১৯টি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরিবহণ খাদে পড়ে গিয়ে, গাছের সাথে ধাক্কা লেগে, সড়কের উপর উল্টে গিয়ে, দ্রুতগামী পরিবহণের চাপায় এবং মুখোমুখি সংঘর্ষে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এতে শিশুসহ মারা যায় ১৯জন,গুরুতর আাহত হয় ৫৫জন। সড়ক দুর্ঘটনার মাসিক প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন নিসচা’র চকরিয়া উপজেলার সভাপতি সোহেল মাহমুদ।
এসময় সাথে ছিলেন নিসচা’র উপদেষ্টা সাংবাদিক এম জাহেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন রশিদ, দুর্ঘটান অনুসন্ধান বিষয়ক সম্পাদক রিদুয়ানুল হক, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের আহবায়ক গিয়াসউদ্দিন গাজী ও দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের চকরিয়া প্রতিনিধি মুহাম্মদ জিয়াউদ্দীন ফারুক।
নিসচা’র চকরিয়া শাখার সভাপতি সোহেল মাহমুদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় নির্দেশে আমরা সচেতনতামূলক নানা অনুষ্টান অব্যাহত রেখেছি। প্রশাসন এবং পরিবহণ মালিক-চালকরা যৌথ উদ্যোগী হলে এবং দুর্ঘটনায় হাতহতের পর শাস্তির বিধান আরো কড়া করলে দুর্ঘটনা অনেকাংশেই হ্রাস পাবে।
এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/জসিম/তোহা