![দুর্গাপুরে ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণে বোরো ফসলের বিপর্যয়](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/05/durgapur---abnews_24_133809.jpg)
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা), ০৫ এপ্রিল, এবিনিউজ : নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পৌরসভাসহ ৭টি ইউনিয়নে রোপনকৃত ১৭ হাজার ৭শ’ হেক্টর জমির বেশির ভাগ বোরো ধানই ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায় কৃষকরা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, বিস্তীর্ন জমির ধান গাছের ৫০% থোড় (শীষ) বেরিয়ে যাওয়ার ফলে অধিকাংশ শিষে নেকব্লাস্ট রোগে ধানক্ষেত নষ্ট হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। শীষের নিচের অংশে কালো হয়ে পচে গেছে। সেই সাথে উপরের শীষ শুকিয়ে নীচের শীষ গুলোতে চিটায় হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.এল.এম রেজওয়ান ইসলাম বলেন, ব্লাস্ট রোগ নিয়ন্ত্রনের জন্য আমরা প্রতিনিয়তই কৃষক সমাবেশ সহ মাঠে কাজ করে যাচ্ছি সেই সাথে ‘‘সেলটিমা’’ নামক ঔষধ ব্যবহার করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় বোর ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭হাজার ৭শ হেক্টর জমি। আর ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৮ হাজার ৫শত মেট্রিক টন।
হঠাৎ করে ছত্রাক জাতীয় নেকব্লাস্ট রোগের সংক্রামণে ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কায় ভোগছে স্থানীয় কৃষকগণ।
পৌরসভাসহ ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন জমিতে ধানের থোড় (শীষ) শুকিয়ে যাচ্ছে। দুর থেকে দেখে মনে হচ্ছে ধান পেকে গেছে। কাছে গিয়ে ধানের শীষ হাতে নিয়ে দেখাগেছে প্রায় ধানের ছড়াতে চিটা রয়েছে। এ গ্রামের ভোক্তভুগি কৃষকগনা বলেন, আমাদের পর পর ২টি ফসল নষ্ট হয়েছে। বড় আশা নিয়া এবার বোরো আবাদ করেছি। এবারও যদি ফসল নষ্ট হয় তবে উপজেলায় খাদ্য সংকটসহ মহামারি দেখা দিতে পারে।
এ বিষয় নিয়ে, রায় স্টোরের স্বত্বাধিকারী কীটনাশক ব্যবসায়ি নারায়ন রায় বলেন, নেকব্লাস্ট রোগের জন্য কৃষি অফিস থেকে সেতু পেস্টিসাইড লিমিটেডের পাইরাপ্লোরোস্টোবিন ১০% (সিএফ ফরমোলেশন) ‘‘সেলটিমা’’ নামক ঔষধ ব্যবহার করার পরমর্শ দেয়া হচ্ছে। ঔষধ ব্যবহারের মাধ্যমে নেকব্লাস্ট নির্মল করতে না পারলে খাদ্য সংকট চরম আকার ধারণ করবে।
এবিএন/তোবারক হোসেন খোকন/জসিম/এনকে