সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • বৈশাখ ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুলবাড়ীয়ার মৃৎশিল্পীরা

বৈশাখ ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুলবাড়ীয়ার মৃৎশিল্পীরা

বৈশাখ ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুলবাড়ীয়ার মৃৎশিল্পীরা

ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ), ০৫ এপ্রিল, এবিনিউজ : আর মাত্র কয়েকদিন পরেই বাংলা শুভ নববর্ষ ও পহেলা বৈশাখ। আর এ উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লার মোরে মোরে বসবে মেলা ।

বৈশাখী মেলাকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুলবাড়ীয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কুমার পাড়ার মৃৎশিল্পীরা।

ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কুমার পাড়ার মৃৎশিল্পীদের ঘরে ঘরে এখন চলছে কাদামাটির নানা রকম খেলনা তৈরীর কাজ। আর এই কাজে পুরুষদের পাশাপাশি গৃহবধূ, কিশোর, যুবক-যুবতী,এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা বসে নেই ।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নে বেড়ীবাড়ী পালপাড়ার গ্রামের সকলেই এখন এ কাজ নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। প্রতিটি পরিবারের সদস্যরাই পূর্ব পুরুষের এই পেশাটি ধরে রাখতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাটি দিয়ে বিভিন্ন জিনিষ পত্র তৈরির করে আসছেন|

উপজেলার হাটকালীর বাজারের পাশে কুমার পাড়ায় ঢুকেই চোখে পড়ে প্রতিটি বাড়ির সামনেই শত শত মাটির তৈরী বিভিন্ন সামগ্রী হাঁড়ি পাতিল, দইয়ের ঘটি, সরা, কলসী, ফুলদানিসহ শিশুদের নানা রকম খেলনা। এছাড়া কেউ মাটি কাঁদা করছেন, কেউ আবার মাটির জিনিস পত্র তৈরী করে রোদে শুকাতে দিচ্ছেন|

পুরুষের পাশাপাশি বাড়ীর বউ ঝিয়েরাও এসব জিনিসে নানার রং লাগাতে ব্যস্ত ।বেড়ীবাড়ীর নামাপাড়া গ্রামের মৃৎশিল্পী জীবন চন্দ্রপাল বলেন, পাষ্টিকের বিভিন্ন জিনিষ পত্র বাজারে সয়লাব হয়ে যাওয়ায়, এখন আর মাটির তৈরী জিনিষ পত্র আগের মতো চলে না বা কদর নেই, তাই অনেকে এ মৃৎশিল্পীরা এ পেশা ছেড়ে দিয়ে বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পরছেন।এছাড়া বতমান প্রজন্ম এ পেশায় আগ্রহ না।

কল্পনা রানী পাল বলেন, পহেলা বৈশাখ নববর্ষ এবং বৈশাখী মেলা উপলক্ষে মাটির তৈরী বিভিন্ন সৌখিন সামগ্রী ও শিশুদের নানা রকম খেলনা বেশী বিক্রি হয়। বিভিন্ন মেলায় বিক্রির জন্য শিশুদের ছোট ছোট হাঁড়ি পাতিল, পুতুল, ব্যাংক, মাছ, হড়িণ, হাতি, ঘোড়াসহ বিভিন্ন রকম খেলনা তৈরীর জন্য আমরা ফালগুন ও চৈত্র মাস থেকে বিরামহীন ভাবে করি। পরিবাবারের অন্যান্য সদস্যরাও এ কাজে আমাদের সহযোগিতা করে থাকেন।ছয় মাস অন্য পেশায় জড়িত থাকতে হয় ।

সুকুমার চন্দ্রপাল বলেন, আমাদের মাটির তৈরী সৌখিন সামগ্রী ও শিশুদের বিভিন্ন রকমের খেলনা রাজধানী ঢাকা-ময়মনসিংহ,জামালপুর,শেরপুর, টাঙ্গািইল সহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে পাইকারী বিক্রেতারা কিনে নিয়ে যায়। আমরাও স্থানীয় মেলায় ও বাজারে বিক্রি করে থাকি ।একটি মাটির ঘোড়া২০ থেকে৬০ টাকা ,হরিণ ১৫থেকে ২৫,কলসি ৬০ থেকে২৫ টাকা,ফুলদানী ৮০থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করে থাকি। এসব মাটির তৈরী সামগ্রী বিক্রী করে, এসময় আমাদের সংসারে কিছুটা হলেও সচ্ছলতা ফিরে আসে।

এবিএন/হাফিজুল ইসলাম স্বপন/জসিম/এনকে

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত