শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • এতিমের টাকা চুরি করার জন্যই খালেদা জিয়া জেলে: আইনমন্ত্রী

এতিমের টাকা চুরি করার জন্যই খালেদা জিয়া জেলে: আইনমন্ত্রী

এতিমের টাকা চুরি করার জন্যই খালেদা জিয়া জেলে: আইনমন্ত্রী

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), ০৬ এপ্রিল, এবিনিউজ: আইনমন্ত্রী এ্যাড. আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি নামে এক পাগলের কোম্পানী আছে, একটা চোরের আখড়া আছে। ‘দেশে আইনের শাসন নাই’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের ১৮জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিল সেই খুনিদেরকে বাঁচানোর জন্য খন্দকার মোস্তাক ‘ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স’ জারি করেন। এই আইনে বলাছিল বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তাদেরকে কোন দিন বিচারের আইনের আওতায় আনা যাবে না।

আজ শুক্রবার বিকালে আখাউড়া উপজেলার ধরখার তন্তর বাজারে ধরখার ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যার পর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সালের ৩০ মে পর্যন্ত জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করে নাই।

তারপর প্রেসিডেন্ট সাত্তার, এরশাদ সাহেব এমননিক ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় এসেও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করে নাই। তারপর ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর বিচারের এজাহার করেন। এইসব ইতিহাস থেকে এটাই প্রমাণ করে বিএনপি আমালে কখনও দেশে আইনের শাসন ছিল না। বরং আওয়ামীলীগের আমলে জনগণের ভোটাধিকার এবং তাদের আদালতে যাওয়ার অধিকার শক্ত হয়েছে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বিএনপি নেতারা ওনাদের নেতাকে (খালেদা জিয়া) জেল থেকে বের করার জন্য এসব মিথ্যাচার করছে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। আদালত সেই মামলায় এতিমের টাকা চুরি করার জন্য খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা এবং আড়াই কোটি টাকা জরিমানা করেছে। এজন্যই খালেদা জিয়া জেলে আছে। তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করি না। আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করলে ২০১৪ সালের পর খালেদা জিয়া অনেকবার আদালতে আসতো আর যেত। কিন্তু আমরা তা করি নাই। আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি।

এসময় তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কসবা-আখাউড়া থেকে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে সমাবেশে উপস্থিত সবাইকে হাত তুলে সমর্থন জানাতে বলেন। ধরখার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হাফেজ মো. জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ মো. জয়নাল আবেদীন, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা, ভাইস চেয়ারম্যান মো. মুরাদ হোসেন, ধরখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাছির মো. আরিফ প্রমুখ।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য মো.আবুল কাসেম ভ্ইূয়া, আইনমন্ত্রীর একান্ত সহকারি এ্যাড. রাসেদুল কাওছার জীবন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. সেলিম ভূইয়া প্রমুখ।

এবিএন/হান্নান খাদেম/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত