বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • ভোলার চর পাতিলায় স্বাস্থ্য সেবা ও নারী উন্নয়ন কেন্দ্রর উদ্ধোধন

ভোলার চর পাতিলায় স্বাস্থ্য সেবা ও নারী উন্নয়ন কেন্দ্রর উদ্ধোধন

ভোলার চর পাতিলায় স্বাস্থ্য সেবা ও নারী উন্নয়ন কেন্দ্রর উদ্ধোধন

ভোলা, ০৭ এপ্রিল, এবিনিউজ : ভোলার দুগোর্ম বিচ্ছিন্ন প্রান্তিক নারীদের জীবনমান উন্নয়ন এবং এলাকাবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়ে যাত্রা শুরু করলো “চর পাতিলা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ও নারী উন্নয়ন কেন্দ্র” ।

আজ শনিবার দুপুরে চর কুকরী মুকরি ইউনিয়নের পাতিলা গ্রামে “চর পাতিলা স্বাস্থ্যসেবা ও নারী উন্নয়ন কেন্দ্রের ” উদ্বোধন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, এমপি এবং মিউচুয়াল ট্্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড-এর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চীফ অপারেটিং অফিসার মো: হাসেম চৌধুরী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন-এমআরডিআই এর নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড এর চীফ কমিউনিকেশন অফিসার আজম খান, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্ট এর নির্বাহী পরিচালক মনির আহমেদ শুভ্র। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করবেন চর কুকরী মুকরী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আবুল হাসেম মহাজন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ভোলার অবহেলীত বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর পাতিলায় সাধারন মানুষের দৌড়গৌড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে ও জীবন মান উন্নয়ন করার লক্ষ্যে “চর পাতিলা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ও নারী উন্নয়ন কেন্দ্র” স্থাপন করেছে। স্বাস্থ্য সেবা যেখানকার মানুষের ছিলো স্বপ্ন। সেই অবহেলীত দ্বীপে এখন আলোক বর্তীকা হিসাবে কাজ করবে এই স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র।

এসময় বক্তারা আরো বলেন, এতো দিন এই চরের মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যেতো। চিকিৎসা সেবা পেতে হলে চর থেকে উপজেলায় যেতো হতো। এই দ্বীপের বসবাসরত ৪ হাজার মানুষের স্বপ্ন পুরণ হয়েছে। তারা এখন দ্বীপে বসেই স্বাস্থ্য সেবা পাবে। এটা এতো দিন এই চরবাসীর স্বপ্ন ছিলো। এখন আর স্বপ্ন নয়। এই দ্বীপে স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র স্থাপনা করায় এখানকার মানুষের চিকিৎসা নেবা অনেকটাই নিশ্চত হয়েছে।

এখানকার জনসংখ্যার প্রায় ৮০ ভাগই নিরক্ষর। শিক্ষা, চিকিৎসা সহ আধুনিক প্রায় সকল সুবিধাই এখানে অনুপস্থিত। সুবিধা বঞ্চিত এসব মানুষের বিকল্প উৎস থেকে আয়ের মাধ্যমে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য সেলাই ও হস্তশিল্পের কাজে প্রশিক্ষিত করা হবে।

প্রায় ১ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটি ২০১৯ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত চলবে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এর অর্থায়নে উন্নয়ন তহবিলের বিকল্প হিসাবে সিএসআর তহবিল ব্যবহারের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়ন এবং দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে এটি এমআরডিআই এবং এমটিবির একটি যৌথ উদ্যোগ।

এবিএন/আদিল হোসেন তপু/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত