![চিতলমারীর অর্পণা চাকুরী করেন দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/07/bagerhat_abnews24_134109.jpg)
বাগেরহাট (খুলনা), ০৭ এপ্রিল, এবিনিউজ : বাগেরহাটের চিতলমারীর বাবুগঞ্জ বাজার ব্রাঞ্চ পোষ্ট অফিসে ইডিএ পদে কাজ করেন অর্পণা রানী দাস (৩৭)। একই সাথে তিনি পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার মাহামুদকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
এ ভাবে তিনি দু’টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে বছরের পর বছর ধরে বেতন-ভাতা তুলে খাচ্ছেন। সেই সাথে তিনি প্রতি বছর সরকারি কোষাগারে লাখ লাখ ফাঁকি দিচ্ছেন। শনিবার দুুুুুুুুুুুুপুরে এমনটাই জানিয়েছেন বাবুগঞ্জ বাজারের কয়েকজন বাসিন্দা।
তারা আরও জানান, ১০-১২ আগে অর্পণার পিতা অনন্ত বানিয়া বাবুগঞ্জ বাজার ব্রাঞ্চ পোষ্ট অফিসের দায়িত্ব ছেড়ে ভারতে চলে যান। তখন থেকে অর্পণা রানী ইডিএ হিসেবে ওই ব্রাঞ্চ পোষ্ট অফিসে কাজ শুরু করেন। একই সাথে তিনি শিক্ষকতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এছাড়া তার স্বামী শচীন্দ্র নাথ মজুমদারও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। দু’জন শিক্ষক দম্পতির এধণের দূর্নীতির কারণে এলাকায় বর্তমানে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে বলেও তারা জানান।
এ ব্যাপারে অর্পণা রানী দাস মুঠোফোনে জানান, বাবুগঞ্জ বাজার ব্রাঞ্চ পোষ্ট অফিসে ইডিএ পদে ও মাহামুদকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিসেবে তিনি কর্মরত রয়েছেন। এরবেশী কিছু জানতে হলে তিনি তার স্বামীর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। এ ঘটনায় অর্পণার স্বামী লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শচীন্দ্র নাথ মজুমদার কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
চিতলমারী উপজেলা পোষ্ট মাষ্টার চিত্তরঞ্জন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, অর্পণা রানী দাস বাবুগঞ্জ বাজার ব্রাঞ্চ পোষ্ট অফিসে ইডিএ পদে ও মাহামুদকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। দু’জায়গা থেকেই তিনি বেতন-ভাতা তুলে খাচ্ছেন। এটা নিয়ম বির্হিভুত কিনা তার জানা নেই।
তবে বাগেরহাট জেলা পোষ্ট অফিসের ইন্সপেক্টর বাবুল আক্তার মুঠোফোনে জানান, এ বিষয়টি জেলা পোষ্ট অফিসের জানা নেই। এটি গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা হবে। একই ব্যাক্তির দু’টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করার কোন বিধান নেই। এমন হলে অর্পণাকে অচিরেই একটি পদ ছাড়তে হবে।
এবিএন/এস এস সাগর/জসিম/এনকে