বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
নেপালে বিমান দুর্ঘটনা

হাসপাতাল ছাড়লেন শাহরিন

হাসপাতাল ছাড়লেন শাহরিন

ঢাকা, ০৮ এপ্রিল, এবিনিউজ : নেপালে ইউএস-বাংলার প্লেন বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত শাহরিন আহমেদের শারীরিক অবস্থা ভালো হওয়ায় তাকে বাড়ি যাওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আজ রবিবার সকাল ১০টার দিকে তাকে ছাড়পত্র দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢামেকের বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ও আহতদের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, আহত শাহরিনের শরীরে অস্ত্রোপচার করে চামড়া লাগানো স্থানগুলো শুকিয়েছে। তার শারীরিক অবস্থার ৯০ শতাংশ উন্নতি হয়েছে। বাকিটুকু বাড়িতে থেকে সেরে উঠতে পারবেন। মেডিকেল পরীক্ষা অনুযায়ী তিনি সুস্থ আছেন। তাকে আগামী দুই সপ্তাহ পরে আবার স্বশরীরে এসে স্বাস্থ্য পরীক্ষার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আহত শাহরিনসহ এ পর্যন্ত আমরা মোট ৪ জনকে সুস্থ শরীরে ছাড়পত্র দিতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি বাকিরাও দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন। চিকিৎসাধীন অপরজন আলিমুন নাহার এ্যানীর শরীরের অবস্থা ভালো হলেও তার মানসিক অবস্থা এখনো শঙ্কা মুক্ত নয়। তাই তাকে আরও কয়েক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকতে হবে।

ডা. সামন্তলাল সেন আরও জানান, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন কবির হোসেনের ডান পা কাটা হলেও বাঁ পায়ের ইনফেকশন কন্ট্রোল করতে পারছেন না।

তবে এ ঘটনায় আহত হাসি ও রেজোয়ান মোটামুটি ভালো আছেন। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা এ খবর জানিয়েছেন।

স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারাটাই অনেক বড় ব্যাপার বলে মন্তব্য করে শাহরিন বলেন, ‘আমি সুস্থ হয়ে নরমাল জীবনে ফিরতে পারছি, এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। আমার বেঁচে ফেরাটা অবভিয়াসলি একটা গিফট। কারণ আমার চোখের সামনেই আমি ৩ জনকে স্ম্যাশ হয়ে যেতে দেখেছি।’

সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শাহরিন বলেন, ‘আমরা যারা বেঁচে ফিরেছি, আমাদের সবার জন্য আপনারা দেশবাসী দোয়া করবেন, যেন আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারি। আমি ঢাকা মেডিক্যালের সিনিয়র জুনিয়র ডাক্তার সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। এরা সবাই আমার জন্য অনেক করেছেন।’

গত ১২ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকালে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস ২১১। এতে নিহত হন ৪৯ জন, যাদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। আহত হন আরও ১০ বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে ৩ জনকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হলেও দেশে আনা হয় ৭ জনকে।

তাদের মধ্যে শাহিন ব্যাপারী নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সিঙ্গাপুরে নেয়া হয় কবির হোসেন নামে একজনকে। ঢামেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন মেহেদী হাসান, কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও শেখ রাশেদ রুবায়েত।

এবিএন/সাদিক/জসিম

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত