ঢাকা, ০৮ এপ্রিল, এবিনিউজ : সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে রীতিমতো রাজকীয় অভ্যর্থনাই জানানো হলো হলিউডে।
লসঅ্যাঞ্জেলসের পুরো সফরেই নানা ধরনের প্রতিবাদ দেখতে হয়েছে তাকে। বিশেষ করে ইয়েমেন আর নারী স্বাধীনতার ইস্যুতে।
তার উদ্যোগেই প্রায় ৩৫ বছর পর সৌদি আরবে উন্মুক্ত হচ্ছে পশ্চিমা সিনেমা।
‘ব্ল্যাক প্যানথার’ ছবির মাধ্যমে শিগগিরই পশ্চিমা সিনেমার যাত্রা শুরু হচ্ছে সৌদি আরবের সিনেমা হলে।
মোহাম্মদ বিন সালমান, যিনি পশ্চিমা বিশ্বে এমবিএস নামে পরিচিত, রাতের খাবার খেয়েছেন মিডিয়া মুগল রূপার্ট মারডকের বাড়িতে।
সেখানে স্টুডিওপ্রধানরা ছাড়াও ছিলেন দ্য রকখ্যাত অভিনেতা ডুয়াইন ডগলাস জনসন।
ডিনারের পর ফেসবুক পোস্টে দ্য রক লিখেন সৌদি আরবে তার অসংখ্য তরুণ ভক্ত আছে জেনে তিনি আনন্দিত। আমি আমার প্রথম সৌদি আরব সফরের দিকে তাকিয়ে আছি। আমি নিশ্চিত সেখানকার চমৎকার টেকিলা (এক ধরনের অ্যালকোহল) রয়্যাল হাইনেস ও পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করব।
অ্যালকোহল সৌদি আরবে নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে। সৌদি যুবরাজের সফরসঙ্গীরা এবার পুরো হোটেলটিই নিয়ে নিয়েছিল, যেখানে সংগীত থেকে খাবার তালিকা সব কিছুতেই ছিল সৌদি আমেজ।
একটা সম্মেলনও হয়েছে যেখানে মূলত আলোচনা হয়েছে সৌদি আরবে বিনোদনের ভবিষ্যৎ নিয়ে যেখানে হলিউডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বহু ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
একদল অধিকারকর্মী অবশ্য ইয়েমেন ও নারী ইস্যুতে সৌদি অবস্থানের প্রতিবাদ করেছে সেখানে। তবে এটিও ঠিক হলিউড এবার প্রত্যক্ষ করেছে ৩২ বছর বয়সী যুবরাজের নির্দেশনায় পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত একটি সৌদি আরবকে।
ফলস্বরূপ সৌদিরা এখন আশা করতেই পারেন যে হলিউডের সুপার ডুপার সিনেমাগুলো শিগগিরই তারা দেখতে পারবেন সেখানে। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সিনেমা চেইন এএমসি সৌদি আরবে ৩০টির মতো সিনেমা হল খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে।
সৌদি আরবের বিনোদন কর্তৃপক্ষ তাদের পরিকল্পনা তুলে ধরেছে সেখানে তাদের মূল বিষয় ছিল পরিবর্তন। তারা বলছেন ৭০ ভাগ সৌদি নাগরিকের বয়স ত্রিশের কোঠায় এবং তারা বিনোদনের জন্য ক্ষুধার্ত।
সূত্র : বিবিসি
এবিএন/সাদিক/জসিম