![সচেতন হোন সুস্থ থাকুন](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/08/healthy-life_134326.jpg)
মো. মুজিবুল হক শ্যামল, ০৮ এপ্রিল, এবিনিউজ : আজ ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। অন্যান্য দিবসের মতো এই দিনটি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যথাযথ মর্যাদা সহকারে পালন করে থাকে। ১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ অর্থনীতি ও সামাজিক পরিষদ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সম্মেলন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠিন আইন গৃহীত হয়। ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল এই সংগঠন আইন আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস নির্ধারিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংস্থার সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে প্রতিবছর যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে দিবসটি পালিত হয়। এবারের দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ইউনির্ভাসেল হেলথ কভারেজ’– সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা। আর এই দিবসের স্লোগান হচ্ছে– ‘হেলথ ফর অল’– সকলের জন্য স্বাস্থ্য। দিবসের যতই বিষয়বস্তু বা গুরুত্ব থাকুক না কেন শরীরকে সুস্থ, সুন্দর রাখতে ও থাকতে চাইলে প্রথমে যে জিনিটি প্রয়োজন হয়, সেটি হচ্ছে সচেতনতা। সচেতনতা মানে সকাল থেকে রাত অবধি প্রতিটি চাল–চলন ও অভ্যাসে সচেতন থাকা। শরীরকে আপনি যেভাবে পরিচালিত করবেন ঠিক সেভাবে পরিচালিত হবে। ইংরেজিতে একটি বিখ্যাত প্রবাদের কথা আমরা সবাই জানি বা বলি ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিউর’ বাংলা অর্থ ‘সাবধানতা চিকিৎসার চেয়ে উত্তম’। কিন্তু কয়জনই এটি অনুসরণ করি? আসলে আমরা সবাই বাস্তব জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের জন্য এত ব্যস্ত কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিজের শরীরটার ব্যপারে খুবই উদাসীন এবং ভাবনার সময় নাই। যখন আমরা অসুস্থ হই তখন ডাক্তার বা হাসপাতালে তোড়জোড় বেড়ে যায়, আর তখন বুঝতে পারি সুস্থ থাকা কতটা জরুরি। তাই আমার ব্যক্তিগত উপলব্ধি হল আগে নিজেকে সচেতন করা। আমার এই লেখার মাধ্যমে সকলকে কিছু পরামর্শ করতে যাচ্ছি। (এছাড়া স্বাস্থ্য বিষয়ক সংগঠন বিনির্মাণ সব সময় সমাজের সচেতন ও মানসিক বিকাশে একযুগে কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সকল দিবসে সচেতন র্যালি, সভা–সমাবেশমূলক কাজ করে যাচ্ছে)। আর সচেতন কীভাবে করতে হবে তার জন্য অনুসঙ্গ কি। সচেতন হওয়াটা সবার কষ্টদায়ক মনে হলেও আসলে আমাদের দৈনন্দিন জীবন–যাপন বা চলাফেরার কিছু পরিবর্তন আনতে পারি, তবে সারাজীবন সুস্থ ও সুন্দর থাকতে পারব। বেশি বেলা করে ঘুমে না থেকে ভোরে ঘুম থেকে উঠে কিছু সময় হাঁটুন, জগিং, ব্যায়াম, প্রাণায়াম বা মেডিটেশন করুন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুধুমাত্র ২০ মিনিট নিজের শরীরের জন্য ব্যয় করুন। তারপর সকাল ৯ টার মধ্যে ভারী নাস্তা খাবার চেষ্টা করুন, খাবারের আগে ১/২ গ্লাস পানি পান করুন। আমরা সবাই হাল্কা নাস্তা খেয়ে দিনের কাজ শুরু করি/অফিসে যায়, এটি করা একেবারেই অনুচিত। (একটানা বসে বা দাঁড়িয়ে কাজ করবেন না, বসে বা দাঁড়িয়ে যেকোন কাজ শরীরের জন্য মারাত্মক শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে) তাই সকাল বেলা ভারী নাস্তা/পেট ভরার মতো করে খান, এবং সকাল বেলা তৈল বা পেটে বায়ু জমে এমন খাবার খেয়ে দিনের কাজ শুরু করা উচিত নয়। এরপর দুপুরের খাবারটা অবশ্যই ১২–১টার মধ্যে খাওয়ার চেষ্টা করুন, কোন অবস্থায় যেন ২টার পরে না হয়। এরপর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল রাতের খাবার। রাতের খাবার অবশ্যই ৮টার মধ্যে শেষ করতে হবে। আমরা সবাই রাতের খাবারের ব্যপারে উদাসীন। গভীর রাত করে ডিনার শেষ করে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমাতে যান। মনে রাখবেন ১০টার পর রাতের খাবার না খাওয়াই ভাল এতে হিতে বিপরীত হবে। এ সময় হাল্কা নাস্তা খেয়ে নিতে পারেন। পর্যাপ্ত ঘুম হবার জন্য রাত ১১টার মধ্যে ঘুমাতে যাবার চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমাতে যাবেন না, কিছুক্ষণ বাসায় হেঁটে বা পায়চারি করে নিন। আপনার যত ধরনের বদঅভ্যাস আছে সেগুলো আস্তে আস্তে পরিত্যাগ করতে থাকুন। সব সময় হাসি খুশি থাকার চেষ্টা করুন, সব সময় নেগেটিভ চিন্তা বাদ দিয়ে পজিটিভ চিন্তা করুন। কেউ নেগেটিভ কথা বললে সেগুলো চুপ থেকে নিজের মতো করে পজিটিভলি নিন। এক সময় আপনি নিজেই বলবেন ইনশাআল্লাহ আমি খুব ভাল আছি, সুস্থ আছি। (সংগৃহীত)
এবিএন/ফরিদুজ্জামান/জসিম/এফডি