ঢাকা, ১০ এপ্রিল, এবিনিউজ : সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে এবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনে নেমেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর সোবহানবাগে ড্যাফোডিল ইউনিভারসিটির শিক্ষার্থীরা, যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে নর্থসাউথ (এনএসইউ) ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভারসিটি অব বাংলাদেশের (এআইইউবি) শিক্ষার্থীরা এবং রামপুরা ব্রিজের পূর্বপাশে ইস্টওয়েস্ট ইউনিভারসিটির শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীরা মিছিল করতে কোটা সংস্কারের দাবি সম্বলিত পোস্টার হাতে নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সোমবারও রামপুরা ব্রিজে অবস্থান নিয়ে আধা ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। মঙ্গলবার তারা একই জায়গায় অবস্থান নিলে রামপুরা ব্রিজ হয়ে বাড্ডাগামী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশের বাড্ডা জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার আশরাফুল করিম জানিয়েছেন, প্রগতি সরণি আফতাব নগরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
ইউআইটিএসের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে আছে ভাটারা থানার সামনে থেকে শুরু করে বাড্ডা-রামপুরাগামী সড়কে। ফলে রামপুরা থেকে নতুন বাজার হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রধান গেইটে অবস্থান নেয়। পরে ইনডিপেন্ডেন্ট, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ও এআইইউবির শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে যোগ দিলে প্রগতি সরণির দুই দিকেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
নর্থ সাউথের এনভায়রনমেন্ট সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী তাজিন মাহমুদ আশিক বলেন, কোটা সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে এবং সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত ভাইবোনদের সাথে আমরা একাত্মতা প্রকাশ করছি।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আলামিন হক সাব্বির হোসেন বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সড়কে অবস্থান করব।
সরকারি চাকরির কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ এর ব্যানারে আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা রোববার শাহবাগ মোড় অবরোধ করলে পুলিশ তাদের রাবার বুলেট ও কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে সরিয়ে দেয়। এরপর রাতভর ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ চলে।
সোমবার বিকালে সচিবালয়ে সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলনকারীদের ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে আন্দোলন ৭ মে পর্যন্ত স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়।
কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থানে থাকা আন্দোলনকারীরা ওই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে সরকারকে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
এবিএন/সাদিক/জসিম