![কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংহতি জানালেন ঢাবি উপাচার্য](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/11/du_134570_134725.jpg)
ঢাকা, ১১ এপ্রিল, এবিনিউজ : সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি ‘যৌক্তিক’ উল্লেখ করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান। আজ বুধবার বেলা ১২টার দিকে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, আমাদের মেয়েরা-ছেলেরাই কিন্তু রাস্তায়। কোটা সংস্কারের এই দাবির প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে সংহতি প্রকাশ করে আমরা সরকারকে বলেছি যে, দ্রুত একটি ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করা হোক যাতে তাদের একটা স্বাভাবিক জীবনে চলে আসে। কারণ, তাদের পরিবার, পিতা-মাতার প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা আছে, দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিও তাদের দায়বদ্ধতা আছে। তারা কখনও ক্লাব বা পরীক্ষা বর্জন করেনি। শুধুমাত্র কোটা সংস্কারের আন্দোলনের গিয়ে তারা এই বক্তব্যগুলো দিয়েছে এবং কিছু যৌক্তিক সংস্কারের কথা বলছে। যুগের সাথে এই পরিবর্তনটা খুবই জরুরি।
সরকারের কাছে এ বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উপস্থাপন করেছেন বলে জানান ঢাবি উপাচার্য। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শিক্ষকরা সংহতি জ্ঞাপন করেছেন বলেও জানান তিনি।
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, সংস্কার এমন একটি বিষয় যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার সঙ্গে যায়। একটি বিশ্ববিদ্যালয় কখনও স্থবির অবস্থায় থাকে না। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া যেখানে সবসময় সংস্কারকে স্বাগত জানানো হয়। আমরা একেবারেই যৌক্তিকভাবে মনে করি যে সংস্কারের খুবই প্রয়োজন।
এরআগে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকের পর আগামী ৭ মে এ বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত জানাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। তবে আন্দোলনকারীদের একাংশ এটিকে মানতে অস্বীকৃতি জানান। তারা এ বিষয়ে সরকারী সিদ্ধান্ত পেতে বিলম্ব করতে রাজি নয়। এরপর সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীর মন্তব্যের জেরে ফের একত্রিত হয়ে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
ঢাবি উপাচার্যের মতে, সংস্কার যেহেতু করবেই তাই এটিকে যতো দ্রুত করা যায় ততই ভালো।
তিনি বলেন, ৭ মের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু যেহেতু সংস্কার করবেই এবং অনেকগুলো বক্তব্য বিভিন্ন সময়ে এসেছে। সুতরাং আমার কাছে মনে হয়, এটি যতো দ্রুত করা হবে ততই মঙ্গল।
শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কারও মধ্যে কোন পার্থক্য নেই বলে স্পষ্ট করেন উপাচার্য। যৌক্তিক দাবির প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব সময় একমত থাকেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, জনমনে প্রশ্ন থাকতে পারে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একদিকে এবং ছাত্ররা অন্যদিকে। এটা কিন্তু কখনও না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, ঐতিহ্যে এর কোন প্রমাণ নেই। ইতিহাস বলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল সদস্য সকল যৌক্তিক দাবিতে একমত।
এবিএন/মমিন/জসিম