![ফরিদপুরে রসুনের বাম্পার ফলন](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/12/rosun_abnews_134831.jpg)
ফরিদপুর, ১২ এপ্রিল, এবিনিউজ : চলতি মৌসুমে ফরিদপুর জেলায় রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু বাজারে রসুনের সঠিক মূল্য না পাওয়ায় হতাশ কৃষকেরা। ফলে হাঁসি নেই কৃষকের মুখে। আর কৃষি বিভাগ এখন রসুন না বিক্রি করে সংরক্ষণ করার কথা বলছেন। বলছে রসুন সংরক্ষণ করা খুবই সহজ। কিছুদিন ঘরে রসুন সংরক্ষণ করলে ভাল দামপাবে কৃষকেরা।
একই জমিতে বিভিন্ন প্রকার কৃষিপণ্য উৎপাদনের কারণে ফরিদপুর জেলার চরাঞ্চলের চাষাবাদ বরাবরই বৈচিত্রময়। চরাঞ্চলের বৈচিত্রময় কৃষি কাজে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বিনাচাষে রসুন উৎপাদন। স্বল্প ব্যয়ে বিনা চাষের রসুন উৎপাদন লাভজনক হওয়ায় দিন দিন রসুনের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চলতি বছর জেলার ভাঙ্গা, নগরকান্দা, সালথা, সদরপুর, চরভদ্রাসন ও সদর উপজেলার চরাঞ্চলের কৃষকেরা বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে বিনা চাষে ব্যাপকভাবে রসুনের চাষ করেছে। রসুনের ফলন ও হয়েছে ভাল। কিন্তু বাজারে রসুনের সঠিক মূল্য না পাওয়া হাঁসি নেই কৃষকের মুখে।
বর্তমানে কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন রসুন তোলার কাজে। বসে নেই কৃষানীরাও। তারাও রসুন কাটা, ধোয়া, শুকানো ও সংরক্ষণে ব্যস্তসময় পার করছেন।
চরমাধবদিয়া এলাকার কৃষক জুয়েল মল্লিক জানান, চলতি মৌসুমে রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্ত বাজারে রসুনের দাম নেই। আমরা পথে বসে গেছি। রসুনের দাম না পেলে আমার শেষ হয়ে যাব।
তিনি আরও জানান, এক মণ রসুন উৎপাদন করতে খরচ হয়েছে ৮শ’ থেকে এক হাজার টাকা। কিন্তু এখন বাজারে একমন রসুনের দাম চারশ টাকা। ফলে আমাদের উৎপাদন খরচও উঠছেনা।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি বছর জেলায় প্রায় ৫হাজার হেক্টোর জমিতে জমিতে রসুনের আবাদ হয়েছে।
সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আবুল বাসার মিয়া বলেন, ফরিদপুর অঞ্চলে বিনা চাষে রসুনের ব্যাপক আবাদ হয়ে থাকে। এখন রসুনের দাম কিছুটা কম হলেও। বেনি পদ্ধতিতে রসুন সংরক্ষণ করে রাখলে এবং কিছুদিন পর বিক্রি করলে কৃষক লাভবান হনে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করে থাকি।
এবিএন/কে. এম. রুবেল/জসিম/এমসি