![আশাশুনিতে সেফটি প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/12/shatkhira_abnews24 copy_134945.jpg)
আশাশুনি (সাতক্ষীরা), ১২ এপ্রিল, এবিনিউজ : আশাশুনিতে সেফ এ্যাকুয়ো ফার্নিং ফর ইকোনমিক এ্যান্ড ট্রেড ইমগ্রুভমেন্ট (সেফটি) বাংলাদেশ প্রজেক্টের প্রকল্প অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১.৩০টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
ইউএনডিএ’র সহায়তায় উইনরক ইন্টারন্যাশনাল ও টিএমএসএস এর বাস্তবায়নে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সিনি. উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সেলিম সুলতান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন, আশাশুনি প্রেসক্লাব সভাপতি জি এম মুজিবুর রহমান।
মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রকল্পের বিভিন্ন দিক ও বাস্তবায়িত কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা উপস্থাপন করেন প্রজেক্টের ম্যানেজার শহিদুল আলম খান।
প্রজেক্টের অ্যাকোয়া কালচার এক্সটেনশান অফিসার মো. সোহেল রানার সঞ্চালনায় এবং উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মৎস্য চাষীদের অংশ গ্রহণে কর্মশালায় জানান হয়, ২০০০ সালে সাদামাছ চাষে বাংলাদেশ বিশে^ ৪র্থ স্থানে থাকলেও চিংড়ী চাষে কোন উন্নয়ন হয়নি। বিস্তীর্ণ উপকুলবর্তী এলাকাজুড়ে চিংড়ী চাষের উপযোগী ২,৭৫,০০০ হেক্টরের বেশী স্বাদু ও লোনা পানির ঘের এবং সারা দেশে অসংখ্য পুকুর, ধানক্ষেত ও প্রাকৃতিক জলাশয় রয়েছে। যেখানে মিঠাপানির গলদা চিংড়ী চাষ করা সম্ভব।
এসব স্থান থেকে বছরে ১/২ লক্ষ মে.টন গলদা/বাগদা রপ্তানি করা সম্ভব এবং ১/২ বিলিয়ন টাকা আয় সম্ভব। কিন্ত বর্তমানে মাত্র ৫০ হাজার মেঃটন রপ্তানি হচ্ছে।
এই প্রজেক্টের আওতায় ২৫ হাজার চাষীকে প্রশিক্ষণের লক্ষ্য সামনে রেখে ইতিমধ্যে ৯৫০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। সাথে সাথে তাদেরকে কোয়ালিটি সম্পন্ন পোনা সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
চিংড়ী উৎপাদন বৃদ্ধি ও রপ্তানি উন্নয়নের সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে চাষী ও চিংড়ী শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
এবিএন/মুজিবুর রহমান/জসিম/এমসি