
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া), ১৩ এপ্রিল, এবিনিউজ: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার জামালপুর সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ও চোরাকারবারীদের মধ্যে গোলাগুলিতে ২ জন বিজিবি সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের জামালপুর সীমান্তে বিজিবি ও চোরাকারবারীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
এসময় জামালপুর সীমান্তের শীর্ষ চোরাকারবারী ভুট্ট, লালু, ডাবু, সেকুল ও রবিউলসহ ১০-১২ জন ভারতের নদীয়া জেলার হোগলবাড়িয়া থানার নাসিরাপাড়া সীমান্তের ১৫৩-২(এস) সীমান্ত পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে মাদক নিয়ে ঢুকছিল। সেসময় টহলরত ৩২বিজিবি ব্যাটালিয়ান অধিনস্থ জামালপুর বিওপি’র সদস্যরা চোরাকারবারীদের ধাওয়া দিলে সশস্ত্র চোরাকারবারীরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
জবাবে বিজিবি জওয়ানরাও পাল্টা গুলি চালালে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যায়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে অন্তত ১০-১২ রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
দুই পক্ষের গোলাগুলির পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নায়েক শোভন ও সৈনিক অনিন্দকে উদ্ধার করে মিরপুর ব্যাটালিয়নে নেয়া হয়। চোখে গুলিবিদ্ধ বিজিবি নায়েক শোভনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে এবং কনষ্টেবল অনিন্দকে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে লালচাঁদ (৪২) ও নাজমুল (২০) নামে দুইজনকে আটক করে বিকেল ৪টার দিকে দৌলতপুর থানায় সোপর্দ করেছে বিজিবি।
গোলাগুলির বিষয়ে জানতে চাইলে জামালপুর ক্যাম্প ইনচার্জ নায়েক সুবেদার আবুল হাসেম জানান, চোরাকারবারীদের ছোড়া গুলিতে তাদের ২ জন বিজিবি সদস্য আহত হয়েছে। এবং বিজিবি ৭ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন।
সীমান্তে গোলাগুলির খবর পেয়ে কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আশরাদুজ্জামান এবং ৩২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল রাশেদ আলম খান জামালপুর সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং চোরাকারবারীদের যে কোন মূল্যে আটক করা হবে বলো জানিয়েছেন।
এবিএন/জহুরুল হক/জসিম/তোহা