![রক্ত দেয়ার আগে লক্ষ্য রাখবেন এসব বিষয়](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/14/health-2_135116.jpg)
ঢাকা, ১৪ এপ্রিল, এবিনিউজ : মুমূর্ষু রোগীর জন্য যদি রক্তের প্রয়োজন হয়, তখন আপনজন না হলেও অনেকে রক্ত দিয়ে থাকেন। রক্ত দেয়ার জন্য প্রয়োজন সেবামূলক মানসিকতা। আজকাল সহজে একজন আরেকজনকে রক্ত দিয়ে থাকে। বিশেষ করে তরুণরা, খুব আগ্রহ নিয়ে অপরিচিতদেরও রক্ত দিয়ে থাকেন।
রক্ত দিলে রক্তদাতার কোনো শারীরিক ক্ষতি হয় না। সুস্থ, সবল, নিরোগ একজন মানুষ প্রতি চার মাস অন্তর রক্ত দিতে পারেন। রক্তদানের ক্ষেত্রে রক্তদাতার কিছু শারীরিক বিষয় লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। জেনে নিন রক্তদানের আগে যেসব বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।
সুস্থ থাকতে হবে : রক্তদাতাকে অবশ্যই শারীরিকভাবে সুস্থ হতে হবে। অসুস্থ অবস্থায় কখনো রক্ত দেয়া যাবে না। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রক্ত দিলে বিপাকে পড়তে পারেন আপনি।
বয়স : কোনো সুস্থ ব্যক্তি যদি রক্ত দিতে চান, তবে তার বয়স অবশ্যই ১৮ বছর হতে হবে। ১৮ বছরের নিজে কোনো ব্যক্তি রক্তদান করতে পারবেন না।
ওজন ১১০ পাউন্ড : রক্তদানের আগে রক্তদাতার ওজন ও বয়স যাচাই করে নিতে হবে। কোনো ব্যক্তির ওজন যদি ১১০ পাউন্ডের নিচে হয়, তবে ওই ব্যক্তি রক্ত দিতে পারবেন না।এছাড়া রক্তদাতার রক্তচাপের দিকে লক্ষ্য রাখা দরকার। খুব বেশি বা খুব কম কোনোটিই রক্তদানের ক্ষেত্রে সহায়ক নয়
পিরিয়ড ও গর্ভাবস্থায় : কোনো নারী পিরিয়ড চলাকালীন বা গর্ভাবস্থায় রক্তদান করতে পারবেন না। কারণ এ সময় রক্তদান নারীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
অ্যান্টিবায়োটিক সেবন : অ্যান্টিবায়োটিক সেবনরত অবস্থায় কোনো ব্যক্তি রক্তদান করতে পারবেন না। এ ছাড়া রক্তদানের কাছাকাছি সময়ে কোনো বড় দুর্ঘটনা বা অস্ত্রোপচার হয়ে থাকলে রক্তদান না করা বাঞ্ছনীয়রক্তের হিমোগ্লোবিন ১১-এর নিচে হলে রক্ত দেয়া ঠিক নয়। এতে করে হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, ক্লান্ত লাগা, চোখে ঝাপসা দেখা, মাথা ঘোরাসহ অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারেন।
রক্তদানের পরে কিছু বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এক ব্যাগ রক্তদানের পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়া দরকার। রক্তদানের পর দুই গ্লাস পানি বা জুস খেলে রক্তের জলীয় অংশটুকু পূরণ হয়ে যায়। এর পর পর্যাপ্ত পানি ও জুস পান করতে হবে, সেই সঙ্গে ৮ ঘণ্টা ঘুম। খাবারে কলিজা, বিভিন্ন ধরনের কচু, ডিম, দুধ রাখতে হবে।
এবিএন/সাদিক/জসিম/এসএ