শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • চিতলমারীর খরস্রোতা চিত্রা নদী এখন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়

চিতলমারীর খরস্রোতা চিত্রা নদী এখন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়

চিতলমারীর খরস্রোতা চিত্রা নদী এখন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়

বাগেরহাট, ১৪ এপ্রিল, এবিনিউজ: বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সদরের পাশ দিয়ে বহমান এক সময়ের খরস্রোতা চিত্রা নদী এখন অস্তিত্ব সংকটে। নদীর দু’পাড়ে বসবাসকারি প্রভাবশালীদের দখলদারিত্ব ও বাজারে বসবাসকারি কিছু দুষ্ট লোকের ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে এটি এখন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এ কারণে উপজেলার প্রায় অর্ধশত খাল বর্তমানে নাব্যতা হারিয়ে মরতে বসেছে।

এ পরিস্থিতিতে চাষাবাদ, নৌযোগাযোগ ও মানুষের ব্যবহার্য পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। পঁচা পানির র্দুগন্ধে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে দু’পাড়ে পাড়ে বসবাসকারি মানুষের জীবন। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এ নদীটি এভাবে ভাগাড়ে পরিণত করায় এলাকার সাধারণ মানুষ চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, গত প্রায় দু’যুগের মধ্যে এ অঞ্চলের নদী ও খাল খনন না করার ফলে অধিকাংশ ভরাট হয়ে গেছে। ফলে চিতলমারী সদর বাজারের হকক্যানেল ও চিত্রা নদীসহ বেশকিছু খালের দু’পাশে বসবাসকারী প্রভাবশালীরা যে যার মত অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে পাড় দখল করে নিয়েছে। এছাড়া ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরাট করে ফেলা হচ্ছে নদীটি। ফলে ্চিত্রা নদীটি এখন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।

চিতলমারী সদর বাজারের পাশের একমাত্র এ নদীটিতে এখন হাটু পানিও নেই। পঁচা পানির র্দুগন্ধে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে দু’পাড়ে পাড়ে বসবাসকারি মানুষের জীবন। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সদর বাজারসহ আশপাশ এলাকায় বসবাসকারিদের।

এছাড়া উপজেলার বড়বাড়িয়া, কলাতলা, হিজলা, শিবপুর, চিতলমারী সদর, চরবানিয়ারী ও সন্তোষপুরসহ ৭টি ইউনিয়নে প্রধান ৩টি নদী ও ৫০টি খাল এবং শতাধিক শাখা খাল রয়েছে। যার অধিকাংশ এখন নাব্যতা সংকটে। অনেক নদী ও খাল এখন কালের সাক্ষী মাত্র। এরমধ্যে হক ক্যানেল, পাটনিবাড়ি, পেতœীমারী, নারাণখালী, বাঁশতলী, খাগড়াবুনিয়া, শরৎখালীসহ প্রায় ৫০টি খালের একই অবস্থা।

এসব নদী ও খালে নাব্যতা সংকট দেখা দেয়ায় মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে-এর অধিকাংশ ভরাট হয়ে গেছে। ফলে ঠিকমত জোয়ার-ভাটার পানি ওঠা-নামা না করার ফলে সেচ মৌসুমে চাষীরা ফসলে ঠিকমত পানি দিতে পারে না। এমনটি জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ লোকজন।

সদর বাজারের অন্যপাশ থেকে বয়ে যাওয়া হক ক্যানেলের বেশ কিছু স্থানে প্রভাবশালী লোকজন দখল করে নিয়েছে। এসব স্থানে যে যার মত অবৈধ স্থাপনা নির্মাণসহ ভরাট করে ফেলছে। ফলে নৌযোগাযোগ অচল হয়ে পড়েছে।

এ অবস্থায় উপজেলার কুরালতলা, শিবপুর, কালশিরা, বারাশিয়া, আড়য়াবর্ণীসহ প্রায় ৮ থেকে ১০ গ্রামের কয়েক হাজার চাষীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি চিতলমারী সদর বাজারে আসা-যাওয়ার জন্য কৃষিপণ্যসহ মালামাল আনা-নেয়ার জন্য নৌকায় করে চলাচলে চরম বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। দখলদারদের কারণে খালটি এখন চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় খালটি দখলদার মুক্ত করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকার সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে শেরেবাংলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোহাসীন রেজা, স্থানীয় সাংবাদিক দেবাশিষ বিশ্বাসসহ অনেকে জানান, এভাবে চিত্রা নদী ও খাল দখল হতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যে এর কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না এবং চাষাবাদের পানি মিলবে না। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখে এ সকল নদী ও খাল পুনঃ খননের জোর দাবি জানান তারা।

এবিএন/এস.এস সাগর/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত