বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • জাতীয়
  • কোটা আন্দোলন: জিজ্ঞাসাবাদের পর ৩ নেতাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে

কোটা আন্দোলন: জিজ্ঞাসাবাদের পর ৩ নেতাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে

কোটা আন্দোলন: জিজ্ঞাসাবাদের পর ৩ নেতাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে

ঢাকা, ১৬ এপ্রিল, এবিনিউজ : কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রকে তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তাদের ‘জিজ্ঞাসাবাদ করে’ ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ সোমবার বিকাল ৪টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি সংবাদ সম্মেলনে করে। ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া চার মামলা দুদিনের মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলন শেষে পরিষদের নেতারা ঢামেক হাসপাতালে যান আন্দোলনের বিভিন্ন সময়ে হামলায় অসুস্থ নেতাকর্মীদের দেখতে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার পথেই তিন নেতাকে তুলে নেয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়।

রাজধানীর চানখারপুল থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিরা একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল্লাহ নূর, রাশেদ খান ও ফারুক হাসানকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

পরে যোগাযোগ করা হলে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান জানান, তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে থেকে তুলে নেয়া হয়। পরে আড়াইটার দিকে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য গণমাধ্যমকে জানান, তিনজনকে তুলে নেয়া হয়নি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল।

গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, ‘তাদের তদন্তের প্রয়োজনে নিয়ে আসা হলেও জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বিভিন্ন ‘সহিংসতার’ ঘটনায় যেসব তথ্য উপাত্ত পুলিশ পেয়েছে, সেগুলো যাচাই বাছাই করার জন্যই ওই তিনজনকে তারা ‘নিয়ে’ গিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ‘ভিসির বাসায় যে হামলা হয়েছিল, এই ঘটনায় যেসব ভিভিও ফুটেজ পেয়েছি সেগুলো যাচাই বাছাই করার জন্য তদন্তের প্রয়োজনে তাদের ডেকে এনেছিলাম। তারা চলে গেছে।’

প্রসঙ্গত, গত ৮ এপ্রিল থেকে পাঁচ দিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন। পরে ১২ এপ্রিল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করে সব চাকরিতে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেন।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত