![দুই সিটি নির্বাচনে বিএনপির সেনা মোতায়েনের দাবি নাকচ ইসির](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/17/ec-sec_135584.jpg)
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল, এবিনিউজ : গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন ও ইভিএম ব্যবহার বন্ধে বিএনপির দাবি নাকচ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আজ মঙ্গলবার সকালে আগারগাঁও শেরেবাংলা নগরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ কথা জানান।
নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির প্রতিনিধি দল কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে। আইন ও বিধি অনুযায়ী যেগুলো পূরণ করা সম্ভব কমিশন তা বিবেচনার কথা বলেছে।
সেনা মোতায়েন বিষয়ে হেলালউদ্দিন আহমেদ বলেন, কমিশন আগেই বলেছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই।
ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি ইভিএম ব্যবহারে আপত্তি তুলেছিল। কমিশন বলেছে, আইন ও বিধিতে প্রযুক্তি ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কমিশন থেকে বিএনপির প্রতিনিধি দলকে বলা হয়েছে এই প্রযুক্তি খুবই আধুনিক। এটি হ্যাক করার কোনো সুযোগ নেই। এ প্রযুক্তি সম্পর্কে কোনো সন্দেহ থাকলে আপনারা এসে এটি দেখুন। কোনো সমস্যা থাকলে বলুন।’
ইসি সচিব এসময় রংপুর সিটি নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেন।
গাজীপুরে নির্বাচনের আগে পুলিশ সুপার হারুন উর রশিদকে প্রত্যাহারের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাকে বদলি ও প্রত্যাহারের কথা বলেছে। তারা নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের দিয়ে ভোট গ্রহণের কথা বলেছে। তাদের লিখিত দাবিতে গাজীপুরের এসপি হারুন উর রশিদের কথাও আছে। তবে তার বিষয়ে কমিশন থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জবাব দেওয়া হয়নি।
তিনি জানান, কমিশনের আইন ও বিধি মেনেই বিভাগীয় কমিশনারকে কো-অর্ডিনেটর করে নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ৭ দিন আগে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। সেই সঙ্গে গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার হারুন উর রশিদকে প্রত্যাহারের দাবি এবং দুই সিটিতে কর্মরত প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী (চিহ্নিত দলীয় আনুগত্যশীল ও বিতর্কিত) কর্মকর্তাদের বদলি করে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগের দাবি জানিয়েছে তারা।
এবিএন/সাদিক/জসিম