শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • কালারপোল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কালারপোল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কালারপোল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

পটিয়া (চট্টগ্রাম), ১৭ এপ্রিল, এবিনিউজ : পটিয়ায় গতকাল সোমবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পটিয়া উপজেলার কালারপোল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ আলীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা নং-১৫২/১৮ইং দায়ের হয়েছে।

এ মামলার অপর আসামীরা হলে কালারপোল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সাখাওয়াত হোসেন, কনষ্টেবল সাদ্দাম হোসেন, চাপড়া মোহাম্মদ নগর এলাকার নুরুল আবছার, নজরুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম সহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন। মামলাটি দায়ের করেন কোলাগাঁও ইউনিয়নের চাপড়া মোহাম্মদ নগর গ্রামের আলহাজ্ব ইউনুচ মিয়ার পুত্র মো:শফিউল বশর। আদালত মামলাটি শুনানী শেষে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় নুরুল আবছার ও নজরুল ইসলাম নামে দুই ব্যক্তির প্ররোচনায় কোলাগাঁও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চাপড়া মোহাম্মদ নগর এলাকার আলহাজ্ব মো. ইউনুচ মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ শফিউল বশর নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাকা ঘর নির্মাণকালে বাধা প্রদান করে ১ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে না পেয়ে পুলিশ অহেতুক শফিউল বশরকে হয়রানি করে। এব্যাপারে শফিউল বশর গত ২৭ মার্চ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে এ তিন জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

অভিযোগ দেওয়ার পরও কালারপোল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী নুরুল আবছার গংয়ের প্ররোচনায় তাদের প্রতিপক্ষ শফিউল বশরের সাথে দীর্ঘদিনের জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের প্রতিশোধ হিসেবে ঘর নির্মাণকালে বাধা প্রদান করে ১নং বিবাদীসহ সকলে মিলে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের দাবিকৃত ১ লক্ষ টাকা চাঁদা না পেয়ে পুলিশ অহেতুক শফিউল বশর গং কে হয়রানি করে চলেছে।

এছাড়াও শফিউল বশরের বিরুদ্ধে জায়গা জমি নিয়ে নজরুল ইসলাম আদালতে একটি মিচ মামলা নং-১২০৮/১৫ দায়ের করলে পটিয়া সহকারী কমিশনার ভূমি সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে আদালত মামলাটি খারিজ দেন। শফিউল ও নুরুল আবছার দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ থাকলেও গত ১৩ মার্চ শফিউল বশর পাকা ঘরের নির্মাণ কাজ চালালে কালারপোল পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আলীর নির্দেশে এএসআই সাখাওয়াত হোসেন ঘরের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বলে অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ।

উক্ত দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পাওয়ায় নজরুল ইসলাম গং এর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গত ২১ মার্চ দুপুর ১টায় এএসআই সাখাওয়াত হোসেনসহ সাদা পোশাকদারী কনষ্টেবল সাদ্দামকে নিয়ে শফিউল বশরের নির্মাণ কাজের জিনিসপত্র ভাংচুর ও নষ্ট করে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায় বলে অভিযোগকারী শফিউল বশর জানান।

এছাড়াও চলতি বছরের গত ১৭ ফেব্রুয়ারি একই এলাকার জনৈক নওশেদ আলী নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদা চেয়ে না পাওয়ায় এবং হয়রানি করার অভিযোগে ফাঁড়ির ইনচার্জ মো: আলীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা নং-৭০/১৮ইং মামলা দায়ের করে। বর্তমানে মামলা দুটি পিবিএ তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।

পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ আলীর বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি চাঁদাবাজির কারণে এলাকার লোকজন অতিষ্ট। তারা এ ব্যাপারে পটিয়ার এমপি আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরী সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

এবিএন/সেলিম চৌধুরী/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত