
ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ), ১৭ এপ্রিল, এবিনিউজ : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা-জামালগঞ্জ-তাহিরপুর) আসনে সরকার দলীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে ঠেকাতে নির্বাচনে এ আসন থেকে আ.লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী বাকী ছয় প্রার্থীই ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা আয়ামীলীগের উদ্যোগে জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ওই ছয় মনোনয়নপ্রত্যাশী অংশ গ্রহণ করেন এবং তাঁরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি আনুষ্টানিকভাবে ঘোষণা করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা আ.লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুবায়ের পাশা হিমুর সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ-১ আসন থেকে আ. লীগের ২বারের নির্বাচিত সাবেক এমপি প্রবীন রাজনীতিবীদ সৈয়দ রফিকুল হক সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের জৈষ্ট্য সহ সভাপতি রেজাউল করিম শামীম, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও এ আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক ৪ বারের এমপি প্রয়াত আব্দুল হেকিম চৌধুরীর সুযোগ্য পুত্র ও ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল হাসান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদিকা এ্যাডভোকেট শামীমা শাহারিয়ার, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সাবেক টিম সদস্য বিনয় ভূষন তালুকদার ভানু, সুনামগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহবায়ক ড. রফিকুল ইসলাম তালুকদার।
ওই ছয় নেতা ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা কমিটির সদস্য ও উপজেলা আ.লীগের জৈষ্ঠ্য সহ সভাপতি আলমগীর কবীর, সহ সভাপতি ফখরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের জৈষ্ঠ্য সহ সভাপতি এমআর খান, সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট ইকরাম হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মহিবুর হাসান মিশুক, দেলোয়ার হোসেন, জাকির হোসেন প্রমুখ।
গত ২৬ মার্চ স্থানীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের হাতে জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক খান লাঞ্চিত হওয়া ও পরদিন ২৭ মার্চ এমপির লোকজন কর্তৃক উপজেলা আ.লীগের জৈষ্ট্য সহ সভাপতি আলমগীর কবীরের বাসভবনে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের স্থানীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউ জীবনে কোনো দিন আওয়ামী লীগের রাজনীতীর সাথে জড়িত ছিলেননা।
এমনকি আমরা কোনো দিন তিনিসহ তাঁর পরিবারের কাউকে ছিনতামও না। কিন্তু তিনি কোন ঐশ্বরিক ক্ষমতায় নৌকার টিকিট পেয়ে এ আসনে ২ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। আর তিনি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এ আসনের ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ ও তাহিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃনমূলের ত্যাগী ও পরিক্ষিত নেতা-কমীদেরকে সকল ক্ষেত্রেই তিনি কোনঠাসা করে রেখেছেন।
শুধু তাই নয় তিনি আজ এ তিনটি উপজেলার আওয়ামী লীগকেই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের চেয়েও অদম করে রেখেছেন তিনি। আজ সময় এসেছে এই অরাজনৈতিক এমপির হাত থেকে এ আসনের আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার।
তাই আজ আমরা যে কোনো ত্যাগের বিনিময়ে হলেও এমপি রতনের হাত থেকে এ তিনটি উপজেলার আ.লীগকে রক্ষা করার জন্য বদ্ধ পরিকর।
এবিএন/মো. ইমাম হোসেন/জসিম/নির্মল