শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • ফরিদগঞ্জ থেকে আমিন জুয়েলার্সের চুরি হওয়া সোনা উদ্ধার

ফরিদগঞ্জ থেকে আমিন জুয়েলার্সের চুরি হওয়া সোনা উদ্ধার

ফরিদগঞ্জ থেকে আমিন জুয়েলার্সের চুরি হওয়া সোনা উদ্ধার

চাঁদপুর, ১৮ এপ্রিল, এবিনিউজ : ঢাকাস্থ আমিন জুয়েলার্স থেকে চুরি হওয়া বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা ফরিদগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত সোনার পরিমাণ ২১৭ ভরি ও নগদ টাকা ১১ লাখ ২৪ হাজার।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শুলশান ও ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার পশ্চিম বড়ালী গ্রামে সাদ্দাম হোসেনের নানার ঘর থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে চোর চক্রের সদস্য সাদ্দাম হোসেন (২২)কে টার্গেট করে গুলশান থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আমিনুল ইসলাম ১৬ এপ্রিল রাতে ফরিদগঞ্জ আসেন। গত ১৭ এপ্রিল ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালানো হয় সাদ্দামের নানার বাড়ি ফরিদগঞ্জ পৌর ৫নং ওয়ার্ডস্থ পশ্চিম বড়ালী গ্রামের দিঘির পাড়ের জামান পাটোয়ারী বাড়িতে। ওই বাড়িটি চোর চক্রের অন্যতম সদস্য সাদ্দাম হোসেনের নানার বাড়ি। সেখান থেকেই এসব সোনা ও টাকা উদ্ধার করা হয়।

সাদ্দাম হোসেন (৩০) পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক। সে পশ্চিম বড়ালী গ্রামের আমিন উল্লাহর ছেলে।

জানা গেছে, গত তিন দিন আগে ঢাকার গুলশানে আমিন জুয়েলার্সের ছাদ কেটে একদল চোর বিপুল পরিমাণ সোনা ও অর্থ লুট করে। ওই ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হয়ে ওঠে। তারা বিভিন্ন প্রযুক্তির সাহায্যে চোর চক্রের একজন সদস্য সাদ্দামকে চিহ্নিত করে। এরই আলোকে ফরিদগঞ্জের ওই বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানকালে সাদ্দামের নানার ঘরে চালের ড্রাম থেকে ২শ' ১৭ ভরি সোনা ও ১১ লাখ ২৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

গুলশান থানার ওসি (অপারেশন) আমিনুল ইসলাম বলেন, সোনা ও টাকা লুটের ঘটনায় বড় একটি সিন্ডিকেট জড়িত। মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে এদের সবার অবস্থান ও মালামাল লুকিয়ে রাখার স্থান নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে ওই চক্রের অন্যতম সদস্য সাদ্দাম হোসেন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত গা ঢাকা দিয়েছে। ওসি আরো বলেন, তাকে (সাদ্দাম) না পেলেও তার বাবা আমিন উল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায়, সাদ্দাম হোসেন ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসে এবং তার নানার বাড়িতে অবস্থান নেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে পালিয়ে যায়। নানার বাড়িতে সাদ্দামের বৃদ্ধ নানা-নানী থাকেন। চোরাই সোনা ও টাকা উদ্ধারের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে চাঁদপুর জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম রিপন উপস্থিত ছিলেন। তার উপস্থিতিতে জব্দ তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে জানান ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান।

এবিএন/শ্যামল চন্দ্র দাস/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত