![বেরোবি ক্যাম্পাসে সাংবাদিক নিষিদ্ধ!](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/18/begum_rokia_unviercity1_2569_135757.jpg)
বেরোবি, (রংপুর) ১৮ এপ্রিল, এবিনিউজ : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় নিন্দার ঝড় উঠেছে তুমুলভাবে। তবে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার খবর জানেনা বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জানা গেছে, নির্বাহী প্রকৌশলী দপ্তরের এক কর্মকর্তার নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত আরোপ করা হয়।
একুশে টেলিভিশনের রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি ও দৈনিক সংবাদ পত্রিকার রংপুরের স্টাফ রিপোর্টার লিয়াকত আলী বাদল, দৈনিক সংবাদ/ এবিনিউজ২৪.কমের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি তপন কুমার রায় এবং একুশে টিভির ক্যামেরাপার্সন আলী হায়দার রনি মটরসাইকেল যোগে ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় এই বাধার সম্মুখীন হয়।
ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদল বলেন, আজ ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ গতকাল মঙ্গলবার নব নির্মিত শেখ হাসিনা হলের বন্ধ নির্মাণ কাজের সংবাদ সংগ্রহ করে প্রকৌশলী দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ হোসাইন পাটোয়ারী হলের ব্যাপারে বক্তব্য নিতে কল করলে আজ বুধবার আসতে বলেন।
সে অনুযায়ী, তার বক্তব্য নিতে বেলা ১১ টায় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চাইলে আমাকে আটকিয়ে দিয়ে নিরাপত্তা প্রহরীরা বলে ক্যাম্পাসে সাংবাদিককে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সাংবাদিক প্রবেশে করতে না দেওয়ার জন্য আমাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরে ঐ সাংবাদিক শরীফ পাটোয়ারীকে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। রংপুরের সিনিয়র সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদল পরে বিবৃতি না নিয়েই বিব্রত হয়ে চলে যার ক্যাম্পাসের ২ নং গেইট থেকে।
এ ঘটনা শুনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি ( বেরোবিসাস) এর সভাপতি এইচ. এম নুর আলম নিজের পরিচয় দিয়ে ঢুকতে চাইলেও তাকেও নিষেধ করা হয়। তবে শিক্ষার্থী হিসেবে পরে সে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। ক্যাম্পাসে কে নিষেধ করেছে বা কী কারণে নিষেধ করা হয়েছে তা সরাসরি জানা না গেলেও খোঁজ নিয়ে অন্য তথ্য জানা গেছে।
এ ব্যাপারে অফানসারদের প্লাটুন কমান্ডার জিয়া জিয়াউর রহমান বলেন, গতকাল রাতে ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ হোসাইন পাটোয়ারী আমাকে কল দিয়ে বলেন, কেউ ক্যামেরা নিয়ে (সাংবাদিক) প্রবেশ করতে চাইলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে বলবেন। তবে এভাবে ক্যাম্পাসে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে প্রক্টর ড. ফরিদ উল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে সাংবাদিক ঢুকতে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি বা অনুমতির ব্যাপারে আমি জানি না। তিনি বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি, খতিয়ে দেখবো এখন।
এ ব্যাপারে শরীফ হোসাইন পাটোয়ারীকে বারবার কল করলেও রিসিভ করেননি। কল কেটে দিয়েছেন।
পরে দুপুর একটার দিকে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুহিব্বুল ইসলাম জানান, ক্যাম্পাসে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। অবশ্যই সাংবাদিক ঢুকতে পারবে। তবে জানা গেছে, এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটার পর ক্যাম্পাসে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির পক্ষ থেকে নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে। এবং ভবিষ্যতে যেন এ রকম ন্যাক্কারজনক সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে রংপুরের সাংবাদিক মহল।
এবিএন/তপন কুমার/জসিম/নির্মল