দাউদকান্দি (কুমিল্লা), ১৮ এপ্রিল, এবিনিউজ: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার রায়পুর নামকস্থানে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে রোবায়েত হোসেন (৩২) ওরফে বাবুল নামের এক ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছে।
এসময় ডাকাতদলের গুলিতে পুলিশের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের দুই পাশের গ্লাস ভেঙ্গে যায় এবং মডেল থানার ওসি তদন্ত নুরুল ইসলাম মজুমদারসহ ৪ পুলিশ আহত হয়। নিহত ডাকাত সর্দার নরসিংদী জেলার সদর উপজেলার মেহের পাড়া কুরেরপার গ্রামের ঈমান আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে নরসিংদী ও নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
বুধবার দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, ১১ এপ্রিল ঢাকা সাভার থেকে রাজু কার্গো সার্ভিসের একটি কাভার্ড ভ্যান নিট কম্পোজিট এর ৪০ লাখ টাকার রপ্তানী পন্য (টি শার্ট) নিয়ে চট্টগ্রাম পোর্টে যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দির উপজেলার গৌরীপুর এলাকা থেকে ছিনতাই হয়। ছিনতাইকারীরা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে চালক ও হেলপারকে চোখ বেধে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন দাউদকান্দি মডেল থানায় ৩৯৪ দ্বারায় পেনাল কোর্ডে মামলা হয়।
মামলার সূত্র ধরে ওসি তদন্ত নুরুল ইসলাম মজুমদার ঢাকার খিলখেত থেকে পণ্য বহনকারী কার্ভাড ভ্যানটি উদ্ধার করে। কার্ভাড ভ্যান উদ্ধারের সূত্রধরে ঢাকার উত্তরা থেকে সন্দেহমূলক ভাবে রোবায়েত হোসেন বাবুল ও মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বড় বাহাদুরপুর গ্রামের আয়নাল হাওলাদারের ছেলে মারুফ হোসেন লাভলুকে আটক করে।
আটকৃতদের সাথে নিয়ে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী উত্তরার ১৩ নাম্বার সেক্টরের একটি বাসা থেকে ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধার শেষে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ও অন্য আসামীদের ধরতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমিল্লা উত্তর মো. মো. শাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে, সহকারী পুলিশ সুপর(দাউদকান্দি) মহিদুল ইসলাম, ওসি মিজানুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি মো. নাসির উদ্দীন মৃধা ও) গৌরীপুর তদন্ত কেন্দ্রের ওসি এএসএম আবদুর নূরসহ সংঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযানে নামেন। ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যা হতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দির রায়পুর অবস্থান নিয়ে তল¬াশী চালায় পুলিশ।
রাত আড়াইটার সময় একটি প্রাইভেটকার (ঢাকামেট্রো-খ-১২-০০০৭) ও নাম্বার বিহীন মাইক্রোবাসে থাকা ১০/১২জন অস্ত্রধারী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতারী গুলি ছুড়ে। এসময় ধৃত বাবুল ও লাভলু কৌশলে পালাতে চেষ্টা করলে পুলিশও তাদেরকে লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি ছুড়লে বাবুল ডাকাত ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় এবং আহত লাভলুকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। ডাকাতদের সাথে গোলাগুলিতে ওসি তদন্ত নুরুল ইসলাম মজুমদার, এমসআই প্রদিপ দাস, কনস্টেবল ইব্রাহিম ও সোহরাব হোসেন আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ পাইপগান, গুলি, ডিবির জ্যাকেট ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
এবিএন/জাকির হোসেন হাজারী/জসিম/তোহা