![গোপালগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের সই জাল করে এডহক কমিটির অনুমোদন](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/19/gopalganj-school_135873.jpg)
গোপালগঞ্জ, ১৯ এপ্রিল, এবিনিউজ : গোপালগঞ্জের একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সীল-সই জাল করে শিক্ষা বোর্ড থেকে এডহক কমিটির অনুমোদনের অভিযোগ উঠেছে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলতলী সাহাপুর সম্মিলনী উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, বৌলতলী সাহাপুর সম্মিলনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ২২ জানুয়ারী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর এডহক কমিটির জন্য আবেদন জানিয়ে একটি দরখাস্ত প্রেরণ করেন প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম। যে আবেদনের প্রেক্ষিতে বোর্ড কর্তৃপক্ষ এডহক কমিটি গঠনের অনুমতি দিয়ে ১ ফেব্রুয়ারী প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি চিঠি প্রেরণ করে।
এতে সভাপতি ব্যতিত অভিভাবক প্রতিনিধি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনীত ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনীত শিক্ষক প্রতিনিধি মনোনয়ের কথা বলা হয়।
ওই চিঠির আলোকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত ০৫.৩০.৩৫৩২.০০২.০৬.০০৫.১৭-৩০৮/১(৪) নং স্মারকে স্বারকে পবিত্র মজুমদারকে অভিভাবক প্রতিনিধি ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত জেশিঅ/গোপাল/২০১৮/১৬৮(৫) স্বারকে ভুপতি রঞ্জন দাসকে শিক্ষক প্রতিনিধি হিসাবে মনোনীত করে এবং প্রধান শিক্ষকে এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচন করার কথা বলা হয়।
কিন্তু প্রধান শিক্ষক কর্তৃক সভাপতির মনোনয়নকৃত চিঠি বোর্ডে পৌছানোর আগেই মো: মাহমুদ আলম নামে জনৈক ব্যক্তি প্রধান শিক্ষকের প্যাড, সীল ও সই করে এবং অভিভাবক প্রতিনিধি, শিক্ষক প্রতিনিধি মনোনয়নের চিঠি ভুয়া স্মারকের কপি করে শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট শাখার ডিলিং এসিস্ট্যান্ডের সাথে লক্ষাধিক টাকার অবৈধ লেন-দেনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে শিক্ষা বোর্ড থেকে নিজের নামে সভাপতি মনোনয়ন ও একটি এডহক কমিটি করিয়ে আনে।
বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম বলেন, মো: মাহমুদ আলম একজন সুচতুর ব্যক্তি। তিনি জাল জালিয়াতির এবং লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড ঢাকার থেকে একটি ভুয়া এডহক কমিটি করিয়ে আনেন। যাহা আদৌও কার্যকরি না।
এ ব্যাপারে কথিত এডহক কমিটির সভাপতি মো: মাহমুদ আলমের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, এ কমিটির ব্যাপারে আমার কোন ক্ষমতা নেই। যা যা করার প্রধান শিক্ষক করেছে। আমি এ ব্যাপারে কিছুই করিনি। আমি বোর্ডের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছি তিনি আমাকে বলেছেন সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এবিএন/ লিয়াকত হোসেন লিংকন/জসিম/নির্ঝর