![আশাশুনিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/20/paddy_abnews_136137.jpg)
আশাশুনি (সাতক্ষীরা), ২০ এপ্রিল, এবিনিউজ : আশাশুনি উপজেলায় চলতি বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা এখন সময়ের ব্যাপার। উপজেলার সকল ক্ষেতে এখন পাকা ধানের সুদৃশ্য ছবি কৃষকের মনে আনন্দের জোয়ার বইয়ে দিচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ধানের বাম্পার ফলন হবে ইনশাল্লাহ।
আশাশুনি উপজেলার ১১ ইউনিয়নের মধ্যে ১০টিতে লোনা পানির মাছের ঘের রয়েছে। বাকী ইউনিয়নটিতে (বড়দল) লোনা পানির মৎস্য ঘের না থাকলেও সেখানে বোরো ধানের আবাদ খুব কমই হয়ে থাকে। হয়না বললেও ভুল হবেনা।
তবে বাকী ১০টি ইউনিয়নে মৎস্য চাষ হলেও বুধহাটা, কুল্যা, দরগাহপুর ইউনিয়নে ব্যাপক ভাবে এবং কাদাকাটি, আশাশুনি, শোভনালী, শ্রীউলা, খাজরা, আনুলিয়া ও প্রতাপনগরে আংশিকভাবে ধান চাষ হয়ে আসছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও মাঠ কর্মীদের ব্যাপক প্রচারনা ও সহযোগিতা প্রাপ্তি এবং ধানের মূল্য কৃষকের অনুকুলে থাকায় ধান চাষের জমির পাশাপাশি মৎস্য চাষের জমিতে লবণ সহিষ্ণু জাতের ধানের চাষে কৃষকরা উৎসহা সহকারে ঝুকে পড়েছে। ফলে গত বছরের তুলনায় এবছর ৩৪৫ হেক্টর বেশী জমিতে ধান আবাদ হয়েছে।
গত বছর ধান আবাদ হয়েছিল হাইব্রিড ২৩৫০ হেক্টর ও উপশী জাতের ৪০৭০ হেক্টর মোট ৬৪২০ হেক্টর জমিতে। এবছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারত করেছিল হাইব্রিড ২৩৫০ ও উপশী ৪১৬০ হেক্টর মোট ৬৫১০ হেক্টর জমিতে আবাদ হবে।
কিন্তু ব্যাপক প্রচারণা, সরকারি ভাবে প্রনোদনা সহায়তা প্রদান এবং ধানের মূল্য কৃষকদের মনের মত থাকায় সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এবছর আবাদ হয়েছে হাইব্রিড ২৩৭০ হেক্টর ও উপশী ৪৩৯৫ হেক্টর মোট ৬৭৬৫ হেক্টর জমিতে। উপজেলার সকল ইউনিয়নে ফসলের অবস্থা নীরিক্ষে সার্বিক অবস্থা খুবই আশা ব্যাঞ্জক মনে হচ্ছে। ক্ষেতেক্ষেতে এখন বড় বড় ও সুন্দর ধানের শীষ সৃদশ্যমান হয়ে আছে। দেখে মন জুড়িয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান জানান, আমরা সার্বিক বিবেচনায় এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্দ্ধারন করেছি ইনশাল্লাহ ২৮ হাজার ৪৮৫.৯ মে.টন ধান উৎপাদিত হবে। যার মধ্যে হাইব্রিড ২৩৭০ হেক্টর জমিতে প্রতি হেক্টরে ৪.৭৫ মে.টন হিসাবে ১১২৫৭.৫ মে.টন এবং উপশী ৪৩৯৫ হেক্টর জমিতে পার হেক্টরে ৩.৯২ মে.টন হিসাবে ১৭২২৮.৪ মে.টন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্তমান ক্ষেতে ফসলের ধরণ দেখে মনে হচ্ছে আল্লাহ কোপনভ প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রদান না করলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। সাথে সাথে তিনি কৃষকদের অতিদ্রুত ধান কেটে ঘরে তুলতে পরামর্শ প্রদান করেছেন।
এবিএন/মুজিবুর রহমান/জসিম/এমসি