বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • মেলান্দহে বুদ্ধি দিয়ে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল ববিতা

মেলান্দহে বুদ্ধি দিয়ে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল ববিতা

মেলান্দহে বুদ্ধি দিয়ে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল ববিতা

জামালপুর, ২১ এপ্রিল এবিনিউজ: জামালপুরের মেলান্দহে বুদ্ধির বলে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ববিতা ইয়াসমিন সম্পা (১৩)। ঘটনাটি ঘটেছে ২১ এপ্রিল পশ্চিম ঘোষেরপাড়া গ্রামে। ববিতা ইয়াসমিনের পিতা বুলবুল মিয়া ওরফে বুলু মন্ডল জানান-২০ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টার দিকে প্রতিবেশি রমজান আলীর ছেলে শাহজাহান আকন্দ, সিরাজুল ইসলামের ছেলে ইব্রাহিম এবং ফজল হক আকন্দ তাঁকে ঘুম থেকে জাগ্রত করে। তারা ছাত্রী ববিতাকে অপরিচিত এক ছেলের সাথে বিয়ে দেয়ার জন্য বুলু মিয়ার উপর চাপসৃষ্টি করে। এতে ছাত্রীর পিতা আপত্তি করেন। পরদিন সকালে ছাত্রী ববিতাকে জোরপূর্বক ওই অপরিচিত বরের সাথে বিয়ের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

এতে ববিতার পিতা ও আত্মীয়রা আপত্তি জানালে নগদ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। বিয়ে নাদিলে একঘরে করে রাখাসহ পরিস্থিতি খারাপ হবে বলে হুমকী প্রদর্শন করে ওই প্রভাবশালী মহল। ওদিকে ছাত্রী ববিতা যাতে স্কুলে যেতে নাপারে সেজন্য বাড়ি ঘেরাও করে রাখে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে পেরে ববিতার পিতা অজ্ঞান হয়ে পড়লে বাড়িতে কান্নাকাটির রুল পড়ে যায়।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্কুল ছাত্রী ববিতা কৌশলে কেজিএস মহর সোবহান মফিজ উদ্দিন স্কুলের হেড মাস্টার এস.এম. জুলফিকার আলী লেবুকে জানায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে ববিতাসহ তার পিতাকে উদ্ধার করে স্কুলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে বিকেল ৪টার দিকে মেলান্দহ থানা পুলিশ ববিতা ও তার পিতাকে মেলান্দহ থানা হেফাজতে নেয়।

অভিযুক্তদের ইব্রাহিম বলেছেন-অন্য কথা। তিনি জানান-মেয়ে পিতাই বিয়ে ঠিক করে আমাদের ডেকে নিয়ে যায়। ছাত্রীর বাড়ির আশপাশের লোকজন এ বিষয়ে কেও মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না। তবে ছাত্রীর দাদী বুলি বেগম (৭০) জানান-এলাকায় আমার ছেলের কেও নেই। ছেলে বগুড়ার সারিয়াকান্দির কুতুবপুর গ্রাম থেকে এসে এখানে জমি কিনে বসতি করেছেন। প্রভাবশালীদের কাছে কেও কথা বলার সাহস পাবে না। কৃষক আক্তারুজ্জামান জানান-জোরকরে বিয়ে দেবার নিয়ে অনেক দেন-দরবারও হয়েছে। তবে ছেলের পরিচয় জানি না।

অপরিচিত ছেলের সাথে হুটকরে বিয়ে দেয়া নিয়ে তোড়জোড়ের বিষয়টি এলাকাবাসির মনে নানা ঘুরপাক খাচ্ছে। ঘোষেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন-পুলিশ ছাত্রী এবং তার পিতাকে বিকেল ৫টার দিকে আমার হেফাজতে রেখে গেছেন। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যাবস্থা নিব।

এবিএন/শাহ্ জামাল/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত