বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

ঝড়ে উড়ে গেছে বিদ্যালয়, তবু চলছে পাঠদান

ঝড়ে উড়ে গেছে বিদ্যালয়, তবু চলছে পাঠদান

গোদাগাড়ী (রাজশাহী), ২১ এপ্রিল, এবিনিউজ : প্রতিদিনের মতো বিদ্যালয়ে এসেছে শিক্ষার্থীরা। পাঠদানও শুরু হয়েছে। তবে এটা বিদ্যালয়টির স্বাভাবিক চিত্রের চেয়ে ভিন্ন। অন্যান্য দিনের মতো পরিপাটি শ্রেণিকক্ষে নয়, পাঠদান শুরু হয়েছে ঝড়ে বিধ্বস্ত বিদ্যালয় ভবনের বাইরে। মাথার ওপর ছাউনি না থাকায় চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ নিয়েই লেখাপড়া শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলাধীন চম্পকনগর উচ্চ বিদ্যালয় গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেল। গত ২১ শে এপ্রিল (শনিবার) ভোর ৫টার দিকে কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়টি বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ে উড়ে যায় বিদ্যালয়ের ৩টি শ্রেণী কক্ষের টিনের ছাউনি এবং বাকী ৩টি শ্রেণি কক্ষ নড়বড়ে হয়ে যায়। বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচটি শ্রেণিতে পড়ছে ৩৭৮ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষক ও শিক্ষিকা আছেন ১২ জন। দুর্যোগের পর তাঁরা বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমে যোগ দিলেও দুশ্চিন্তা কাটেনি। দ্রুত বিদ্যালয় ভবন মেরামত করা না হলে বর্ষায় পাঠদান বন্ধ করে দিতে হবে, এমন আশঙ্কা করছেন এখানকার শিক্ষকেরা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক মুশা হক বলেন, কয়েকজন এলাকাবাসীর উদ্যোগে নির্মিত বিদ্যালয়টি ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে পড়ায় খোলা আকাশের নিচে ও বারান্দায় চলছে পাঠদান। এতে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যালয়ে কোন ভবন পাকা না থাকায় ঝড় বৃষ্টি হলেই চিন্তায় থাকতে হয়।

বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া ইয়াসমিন বলে, ‘প্রখর রোদেই ক্লাস করতে হচ্ছে। ক্লান্তি আর গরমে শিক্ষকদের পাঠদানে মনোযোগ দিতে পারছি না।’

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আহাদ আলী জানায়, আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে দিতে হবে এতে লেখা পড়ার ক্ষতি হবে। ঝড়ে উড়ে গেছে বিদ্যালয়, তবু চলছে পাঠদানএলাকার বাসিন্দা এবাদুল ইসলাম বলেন, এটি এলাকার ছেলে মেয়েদের জন্য একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়টি দ্রুত সংস্কার করা না হলে, শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়বে।

১নং গোদাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন, বিদ্যালয়টিতে ঝড় আঘাত হানার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত সময়েই বিদ্যালয়টির সংস্কার করার আবেদনও করেছি বিভিন্ন মহলে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল কবীর বলেন,খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে খোজ নিয়েছি। উপজেলার শিক্ষানুরাগী বাসিন্দারাও সেখানে গেছেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আপাতত কাজ চালিয়ে যেতে বলেছি। তাঁরা পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিমুল আকতার বলেন, বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ সংস্কারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো হবে। এবং খুব দ্রুত সংস্কার করা হবে যাতে করে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার কোনো ক্ষতি না হয়।

এবিএন/শামসুজ্জোহা বাবু/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত