শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • সাঘাটায় ইরি বোরো ধানের শীষে নেক ব্লাষ্ট রোগের আক্রমণ

সাঘাটায় ইরি বোরো ধানের শীষে নেক ব্লাষ্ট রোগের আক্রমণ

সাঘাটায় ইরি বোরো ধানের শীষে নেক ব্লাষ্ট রোগের আক্রমণ

সাঘাটা (গাইবান্ধা), ২১ এপ্রিল, এবিনিউজ : গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার সর্বত্র ইরি বোরো ধানের শীষে নেক ব্লাষ্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে ব্যাপক হারে। ফলে ধানের শীষ শুকিয়ে যাওয়ায় ক্ষতির আশংকা করছে কৃষকরা।

কৃষকরা জানায়, ইরি বোরো চাষাবাদে বিঘা প্রতি ৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। যারা অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষ করেছে তাদের বিঘা প্রতি ৮ হাজার টাকা ছাগল বিক্রি করে বা ঋণ নিয়ে ধানের চাষ করছেন, তারা পড়েছেন আরও বিপদে। এখন নেক ব্লাষ্ট রোগের কারণে ধানের গাছ মারা গেলে অনেকেই পথে বসার উপক্রম হবে। অনেকে বাড়ির গরু ছাগল, গাছগাছালী বিক্রি করে এমনকি বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে ইরি বোরো ধানের আবাদ করেছেন। নেক ব্লাষ্ট রোগের আক্রমণে তাদের দিনের বিশ্রাম রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।

কচুয়া ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের কৃষক মোফাজ্জল হোসেন ও সবুর মিয়া জানান, আমার চার বিঘা জমিতে ও বর্গা নেওয়া সাড়ে তিন বিঘা জমিতে ইরি চাষ করেছি। বিঘা প্রতি জমির মালিককে আট মণ ধান দিতে হবে। জমি চাষে এ পর্যন্ত বীজ, সার, সেচ, কীটনাশক ও শ্রমিক মজুরী বাবদ খরচ করেছি ৭ হাজার টাকা। বোরো ক্ষেত পাকা মূহূর্তে নেক ব্লাষ্ট রোগের আক্রমণ দেখা দেওয়ায় বিঘা প্রতি ৫ মণ ধানও পাব কি না তা সন্দেহ রয়েছে।

তারা আরও জানান, ফলন্ত ধানের শীষগুলো দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের কোন পরামর্শই কাজে লাগছে না বলে দাবী করেন তারা। ছত্রাকনাশক স্প্রে করলেও মাঠের পর মাঠ সাদা হয়ে যাচ্ছে ধানের গাছ।

এ ব্যাপারে কৃষি অফিসার মুবিনুজ্জামান চৌধুরী জানান, আমার অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে মাঠে গিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। পরামর্শক্রমে সময়মত স্প্রে করলেই নেক ব্লাষ্ট রোগের আক্রমণ থেকে মুক্ত হবে ধানের গাছ।

এবিএন/আসাদ খন্দকার/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত