![পটিয়ায় টমেটোর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/21/tomato_abnews_136293.jpg)
পটিয়া (চট্টগ্রাম), ২১ এপ্রিল, এবিনিউজ : চলতি রবিশস্য মৌসুমে পটিয়া উপজেলায় এবার টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু চাষীরা টমেটোর ন্যায্য মূল্য পায়নি। পাইকারী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চক্র চাষীদের থেকে সস্তা মূল্যে টমেটো ক্রয় করে তা ৩/৪ গুণ দরে বাজারে বিক্রয় করেছে।
এদিকে টমেটো চাষীরা তাদের খরচ পুষিয়ে নিতে বিপাকে পড়লেও তার পরেও টমেটোর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠে। জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে পটিয়া, সীতাকুন্ড, চন্দনাইশ, রাঙ্গুনীয়া উপজেলা সমূহ শষ্য ভান্ডারে অন্যতম স্থান। এখানকার উৎসাদিত ফসল জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায়ও সরবরাহ দিয়ে থাকে।
পটিয়া উপজেলার খরনা, কচুয়াই, হাইদগাঁও, কেলিশহর ইউনিয়নে এবার প্রচুর পরিমানে টমেটো চাষ হয়েছে। ভরা মৌসুমে বাজারে টমেটো প্রতি কেজি ১০, ১৫ টাকা করে বিক্রি হয়। তখনকার সময়ে চাষীদের থেকে ৫ টাকা ধরে টমেটো ক্রয় করে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।
বর্তমানে বাজারে ২৫ টাকা দরে টমেটো বিক্রি হলেও চাষীদের থেকে এই টমেটো ক্রয় করছে প্রতি কেজি ৬ থেকে ৭টাকা দরে। খরনা গ্রামের টমেটো চাষী নেপাল রুদ্র জানান সে এবার প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা খরচ করে ২ একর জমিতে টমেটোর চাষ করে। তার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ থেকে ৭ লক্ষ টমেটো বিক্রি করবেন। কিন্তু তার টমেটো বিক্রি হয়েছে মাত্র ৩ লক্ষ টাকা। জমিতে আর যে টমেটো রয়েছে তা বিক্রি করলে আয় হবে ৫০ হাজার টাকা।
এতে তার শ্রমিক ও পানি সেচের খরচও আসবে না। তিনি বলেন পটিয়ায় কোন হিমাগার না থাকায় চাষীরা টন টন টমেটো নিয়ে দিশেহারা। তাদের টমেটো সংরক্ষণ করতে না পারাই পঁচে গলে অনেক টমেটো বাহিরে ফেলে দিতে হয়।
এছাড়া সস্তা দামে বিক্রয় করা ছাড়া তাদের কোন গত্যান্তর থাকে না। টমেটো চাষীরা জানান, পটিয়ায় একটি হিমাগার স্থাপন করা হলে তাদের লক্ষ লক্ষ টাকার রবিশষ্য সংরক্ষণ করে ন্যায্য মূল্যে বিক্রয় করতে পারবে।
এ ব্যাপারে চাষীরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এবিএন/সেলিম চৌধুরী/জসিম/এমসি