বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

খোলা আকাশের নিচে পাঠদান!

খোলা আকাশের নিচে পাঠদান!

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট), ২২ এপ্রিল, এবিনিউজ : প্রথমত শিলা বৃষ্টিতে বিদ্যালয়ের টিনের চাল ফুটো হয়ে য়ায়। পরে কাল বৈশাখী ঝড়ে সেই ফুটো টিনের চাল উড়ে যায় বাতাসে। বিদ্যালয়ের ক্লাস রুম গুলো ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলে খোলা আকাশের নিচে নিয়মিত ক্লাস করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এমন দৃশ্য দেখা যায়, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের আমঝোল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।

জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়ে ২০০১ সালে পাঠদানের অনুমতি এবং ২০০৪ সালে একাডেমিক ভাবে স্বীকৃতি পায়। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২১৮ জন। গত ৩০ মার্চ শুক্রবার সকালে প্রথমত শিলা বৃষ্টিতে বিদ্যালয়ের সব টিনের চালা ফুটো হয়ে যায়। ফুটো হওয়া টিনের মেরামত করতে না করতেই আবারো গত ১২ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) রাতে প্রচন্ড ঝড়ে বিদ্যালয়ের সব টিনের চালা উড়ে যায়। কত গুলো টিনের চালা বিদ্যালয় মাঠে পরে বা গাছের ডালে আটকে আছে। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের রুমটি ঠিক থাকলেও বাকি সব শ্রেণি কক্ষ ক্লাশ নেয়ার অযোগ্য হয়ে পরেছে।

সরজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠে প্রচন্ড রোদে খোলা আকাশের নিচে বেঞ্চে বসে আছে শিক্ষার্থীরা আর দাড়িয়ে দাড়িয়ে ক্লাশ নিচ্ছেন শিক্ষক। রোদ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে, অধিকাংশ শিক্ষার্থীর মাথায় বই। শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট করেই ক্লাশ করতে হচ্ছে। আবার আকাশে মেঘ দেখা দিলেই ছুটি। শিক্ষার্থীদের কষ্ট করার পাশাপশি সঠিক পাঠদান থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দাবী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ যদি দৃষ্টি দেন তাহলে হয়তো এ সমস্যা থেকে সকলেই রেহাই পাবে।

ওই বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার জানান, ঝড়ে আমাদের বিদ্যালয়ের টিনের চালা গুলো সব উড়ে গেছে। এতে করে রুম গুলোতে ক্লাশ করা যায় না। বাধ্য হয়ে আমাদের খোলা আকাশের নিচে রোদে পুড়ে ক্লাশ করতে হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন জানান, ঝড়ে টিন বিধবস্ত হয়ে যাওয়ার পর থেকে খোলা আকাশের নিচে ক্লাশ নিতে হচ্ছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। কখনো রোদে পুড়তে হয় অথবা কখনো বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। এছাড়া বিদ্যালয়ের নিজস্ব কোন অর্থায়ন না থাকায় কবে নাগাদ এ বিদ্যালয় মেরামত হবে তা নিয়ে খুবই দু:চিন্তায় আছেন বলে জানান তিনি।

হাতীবান্ধা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জুলফিকার আলী শাহ জানান, আমি কয়েকদিন থেকে ছুটিতে ঢাকায় থাকার কারনে বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে দুই একদিনের মধ্যে ঢাকা থেকে ফিরে যাবো। গিয়েই ওই বিদ্যালয়ের খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, শিলা বৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

এবিএন/আসাদুজ্জামান সাজু/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত